—প্রতীকী চিত্র।
পড়ুয়া ৫৩জন। শিক্ষক ৩জন। মেরেকেটে প্রাথমিক স্কুলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হাজার তিনেক টাকা থাকে। অথচ মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুরে শৈলবালা প্রাথমিক স্কুলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল দেড় লক্ষ টাকা। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ শিক্ষকদের।
এই প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক মৃদুলকান্তি দাসের কথায়, “অনেক দিন হল শিক্ষকতা করছি। স্কুলের অ্যাকাউন্টের পাসবই নিয়ে অনেকবার ব্যাঙ্কেও গিয়েছি। দু’-তিন হাজার টাকার বেশি থাকে না। তাই দেড় লাখ টাকা দেখে সত্যিই অবাক হয়েছিলাম!” স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রতিমা গোস্বামীও বলছিলেন, “আমাদের কাছে এত টাকার চেক এলে তবেই না তা ব্যাঙ্কে জমা দেবো! তাই অ্যাকাউন্টে এত টাকা পড়েছে দেখেই খোঁজখবর শুরু করি।”
খোঁজখবর করতে গিয়েই ধরা পড়ে, ভুলটা করেছে ব্যাঙ্কই। দিন কয়েক আগে স্কুলের নামে একটি চেক এসেছিল। সেই দেড় হাজার টাকার চেকটি স্কুলের তরফে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হয়। আর দেড় হাজার টাকা জমা করতে গিয়ে ব্যাঙ্ক দেড় লাখ টাকা স্কুলের অ্যাকাউন্টে জমা করে দেয়। মৃদুলকান্তিবাবু বলেন, “কয়েক দিন আগে স্কুলের অ্যাকাউন্টের পাসবই আপডেট করতে গিয়ে দেখি দেড় লাখ টাকা জমা হয়েছে। বিষয়টি ব্যাঙ্ককে জানাই। ব্যাঙ্ক ভুল স্বীকার করে।” সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বিমলাপ্রসাদ ভট্টাচার্য মানছেন, “একটা সমস্যা হয়েছিল। পরে তা মিটেও গিয়েছে।” ব্যাঙ্কের এক কর্তা জানান, ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে।
অ্যাকাউন্টে দেড় লাখ টাকা জমা হয়েছে দেখে স্কুলের শিক্ষকেরা প্রথমে ওয়ার্ড শিক্ষা কমিটির সচিব বরুণ অধিকারীকে জানান। বরুণবাবু সব জানান স্থানীয় কাউন্সিলর সৌমেন খানকে। বরুণবাবুর কথায়, “দিন কয়েক আগে ওই স্কুলের নামে দেড় হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল। সেটা কী ভাবে দেড় লাখ টাকা হয়ে গেল ভেবে পাচ্ছিলাম না!” স্কুলের শিক্ষকদের ব্যাঙ্কে যোগাযোগের পরামর্শ দেন সৌমেনবাবু। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে জেলার প্রশাসনিক মহলে। মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, “মেদিনীপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।” আর জেলার লিড ডিস্ট্রিক্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজার (এলডিএম) শক্তিপদ পড়িয়ার বক্তব্য, “কেন এমন হল দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy