Advertisement
E-Paper

অধ্যক্ষের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ

চেয়ারে বসে মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু। তাঁর সামনে মেঝেতে রাখা সুজিত পাল নামে এক যুবকের মৃতদেহ। সঙ্গে স্লোগান, ‘সরকারি হাসপাতালে বিনা চিকিত্সায় রোগী মৃত্যু হচ্ছে কেন, জবাব চাই, জবাব দাও।’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০১:৩২

চেয়ারে বসে মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু। তাঁর সামনে মেঝেতে রাখা সুজিত পাল নামে এক যুবকের মৃতদেহ। সঙ্গে স্লোগান, ‘সরকারি হাসপাতালে বিনা চিকিত্সায় রোগী মৃত্যু হচ্ছে কেন, জবাব চাই, জবাব দাও।’ চিকিত্সায় গাফিলতিতেই সুজিতের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর পরিজনেদের অভিযোগ।

মেদিনীপুর মেডিক্যালে এমন অভিযোগ, বিক্ষোভ নতুন নয়। তবে অধ্যক্ষের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ হাসপাতাল সে ভাবে দেখেনি। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজার অফিসে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন মৃতের পরিজনেরা। তন্ময়বাবু ছুটিতে ছিলেন। খবর পেয়ে আসেন মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চাননবাবু। মৃতের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন সুজাগঞ্জের কাউন্সিলর সৌমেন খান। তদন্তের আশ্বাস দিয়ে পঞ্চাননবাবু বলেন, “তদন্ত কমিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।” আশ্বাসে হাসপাতাল ছাড়েন সুজিতের আত্মীয়রা।

সুজিত পাল পেটে ব্যথা নিয়ে বুধবার ভোরে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হন। রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, রাতে সুজিত অসুস্থ হয়ে পড়লে ওয়ার্ডের জুনিয়র ডাক্তার-নার্সদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি। জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে গুন্ডামির অভিযোগও উঠেছে। মৃতের দাদা বলেন, “ভাই কেন মারা গেল তা জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তখন ৫০-৬০ জন জুনিয়র ডাক্তার মিলে পুলিশের সামনেই আমাদের মারধর করেন।’’ অভিযোগ, স্যালাইনের বোতল ঝোলানোর লোহার স্টিক দিয়ে মারধর করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারদের চিহ্নিত করার আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ।

Protest Dead Body Hospital Super
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy