বার্জটাউনের মণ্ডপে বিজেপি কর্মীদের ভিড়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
‘দো গজ কি দূরি’ বলে আগেই দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ষষ্ঠীর বোধনলগ্নে রাজ্যের ১০টি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করার পর তাঁর বক্তব্যেও ছিল করোনা সচেতনতার বার্তা। মনে করিয়ে দিলেন করোনা অতিমারির প্রভাব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই বার্তা শুনতে ভিড় জমল পুজো মণ্ডপে। এই ছবি মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনে।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির ৭৪ বছরের পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই উদ্বোধনের সময় মণ্ডপ চত্বরে মানা হল না দূরত্ব বিধি। পর্দায় নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য শুনতে ভিড় করলেন বিজেপি কর্মীরা। ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পর পর্দা সরিয়ে মণ্ডপে জ্বালানো হল প্রদীপ। তারপর মণ্ডপেই চলল ছবি তোলার ধূম। সেখানে দাঁড়াতে হুড়োহুড়ি পড়ল নেতাদের। কোথায় ‘দো গজ কি দূরি’!
বার্জটাউনের এই পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শুভজিৎ রায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা সহ ৩০০ থেকে ৩৫০ জন লোক ছিলেন। ভার্চুয়ালে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী বক্তব্য শুনতে পিছনেও অনেক কর্মী এসে দাঁড়িয়ে পড়েন।’’ যদিও এ দিনের অনুষ্ঠান সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এই অনুষ্ঠানের জন্য কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। প্রধানমন্ত্রী যদি পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রী কোনও কথা বলেননি কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
এ দিন বার্জটাউনের মণ্ডপ চত্বরে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়, দলের মেদিনীপুর জোনাল কনভেনার অনুপম মল্লিক সহ-জেলার অন্য নেতৃবৃন্দ। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আসতে পারেননি জেলা সভাপতি শমিত দাস। অনুষ্ঠান শেষে বিজেপির জেলা নেতা অরূপ দাসের সাফাই, "দূরত্ব বিধি মেনেই হয়েছে এ দিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy