ফের পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। হলদিয়ার সুতাহাটা থানার ঘটনা। অভিযোগ, বুধবার স্থানীয় বাড়বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ আব্দুল করিম ও তাঁর স্ত্রী রেহানা বিবি সুতাহাটা থানায় গিয়েছিলেন এফআইআর করতে। কিন্তু অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। উল্টে মহিলা কনস্টেবল ডেকে বার করে দেওয়া হয় ওই দম্পতিকে।
জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে একটি ঘটনায় আহত হয় ওই দম্পতির বছর বারোর ছেলে শেখ আব্দুল নইম। মাংস কাটা ছুরিতে তার কব্জি কেটে গিয়ে বিপত্তি। অনেক চিকিৎসার পরও সুস্থ নয় নইম। কার্যত অকেজো হয়ে গিয়েছে ওই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের ডান হাতটি। অভিযোগ, শেখ আব্দুল করিমের মাংসের দোকানের পাশেই দোকান আবু সইদের। তিন মাস আগে বছর চল্লিশের আবু সইদের সঙ্গে কথা বলছিল নইম। মজা করতে করতেই আবুর হাতের ছুরিতে কব্জি কেটে যায় নইমের। তারপর গ্রামের মাতব্বরেরা সালিশি বসিয়েছিল। স্থির হয়েছিল নইমের চিকিৎসার সব ভার নেবে আবু সইদের পরিবার। কিছুটা চিকিৎসা হয়েছিল সেই টাকায়। কিন্তু বিশেষ উন্নতি হয়নি নইমের। প্রাণে বাঁচলেও হাতটি অকেজো হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।
সম্প্রতি আবু সইদের পরিবার আর টাকা দিতে অস্বীকার করে। এ দিকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন আব্দুল করিমও। তাই তাঁরা থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু লিখিত অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে সুতাহাটা থানা। এ দিন শেখ আবুদল করিম বলেন, ‘‘১৬ই মে থেকে সুতাহাটা থানায় ঘুরছি একটি এফআইআর করব বলে। আজ আসুন, কাল আসুন বলে ঘোরাচ্ছে পুলিশ। বুধবার সকালে ফের থানায় গেলে আমাকে আর আমার স্ত্রীকে বের করে দেওয়া হয় ধাক্কা দিয়ে। বলা হয়, তিন মাস আগের অভিযোগ নেওয়া হবে না।’’ আব্দুল করিমের অভিযোগ অপর পক্ষ তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই অভিযোগ নিতে চাইছে না থানা।
সুতাহাটা থানার ওসি শীর্ষেন্দু দাস অবশ্য পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। কেউ থানায় এলে আমি অভিযোগ নিতে বাধ্য।’’ হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। এমন হওয়ার কথা নয়।’’
এ দিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের আব্দুল মজিদ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক বলতে পারব না। তৃণমূল নেতা আনন্দময় অধিকারী বলেন, ‘‘নেহাৎই গ্রাম্য সমস্যা। রাজনীতির সুযোগ নেই।’’
ছাত্রের মৃত্যু। ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল স্কুল ছাত্রের। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট–পারুলিয়া রাস্তায় তারাপীঠ থানার ব্রাহ্মণডিহি গ্রামে। পুলিশ জেনেছে মৃতের নাম সঞ্জীব মাল (১২)। বাড়ি ব্রাহ্মণডিহি গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীরভূম জেলার সীমান্ত ঘেঁষা মুর্শিদাবাদের পারুলিয়া হাইস্কুলে সঞ্জীব ষষ্ট শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ দিন সকালে সাইকেলে স্কুল যাওয়ার পথে তারাপীঠমুখী একটি খালি ট্রাক সঞ্জীবের সাইকেলে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ দিকে ঘটনার পরেই ট্রাক চালক এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। স্থানীয়েরা ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধও করেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy