বড়-মাথা: শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় ধৃত রেলশহরের এক সময়ের ডন বাসব রামবাবু। মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে। নিজস্ব চিত্র
জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে রামবাবু। রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় এক সময়ের খড়্গপুরের ত্রাস রামবাবুকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা পুলিশের। সে কথা জানানো হল আদালতেও।
ছ’দিন পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার রামবাবুকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। ধৃতকে নতুন করে আর হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেনি পুলিশ। তাই ধৃতের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। এ দিন শুনানির সময় সওয়াল করতে গিয়ে শ্রীনু মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় রামবাবু পুলিশের সঙ্গে এতটুকু সহযোগিতা করেনি। উল্টে পুলিশকে কিছু ভুল তথ্য দিয়েছে। তার কথাবার্তায় অসঙ্গতিও ছিল। ধৃতকে নতুন করে কেন হেফাজতে চাওয়া হল না? পুলিশের বক্তব্য, ধৃতকে আর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া, মামলার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরবাবুও বলেন, “তদন্ত অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।”
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের তানুকা থেকে রামবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। রামবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলার আর এক অভিযুক্ত কে কাশী রাওয়ের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। কাশীর খোঁজে পুলিশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি-অভিযানও চালায়। অবশ্য কাশীর হদিস মেলেনি। পুলিশের এক সূত্রের দাবি, এই অভিযুক্ত কোথায় থাকতে পারে, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তা রামবাবুর কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে রামবাবু সদুত্তর দেয়নি। সে কয়েকটি জায়গার নাম বলেছিল। তবে সেখানে হানা দিয়ে ওই অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি।
এ দিন দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয় রামবাবুকে। ছিল বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা। আদালতের সামনে একাংশে ব্যারিকেড করা হয়। ছিলেন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশীও। পুলিশি ঘেরাটোপেই রামবাবুকে কোর্ট লক-আপে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছিলেন, “রামবাবু বড় মাফিয়া ডন। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।”
গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। হামলায় নিহত হয় শ্রীনুর ‘ডান- হাত’ ধর্মা রাও। জখম হয় তিনজন। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত রামবাবু-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy