একটি মোটরসাইকেলে সওয়ার তিন তরুণ। কারও হেলমেট নেই। সেই ভুলের মাসুল তারা গুনল দুর্ঘটনার বিনিময়ে। প্রাণ গেল এক জনের।
শনিবার রাতে খড়্গপুর শহরের পুরীগেট উড়ালপুলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বিভাস চক্রবর্তী (১৮) নামে খরিদার কুমোরপাড়ার ওই তরুণের। জখম হয়েছে বাকি দু’জনকে প্রথমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে এই পুরীগেট উড়ালপুলে প্রায় একই ভাবে মোটর বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেও যে শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ভোলবদল হয়নি, বাড়েনি দু’চাকায় সওয়ারদের সচেতনতা, ফের তার প্রমাণ মিলল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দিন সন্ধ্যায় একটি মোটরসাইকেলে বেরিয়েছিল ওই তিন তরুণ। কিছুটা ঘোরাঘুরির পরে তারা প্রেমবাজারের দিকে যায়। রাতে বাড়ি ফেরার পথে প্রেমবাজার থেকে ঝাপেটাপুরের দিকে আসতে তাঁরা পুরীগেট উড়ালপুলে ওঠে। উড়ালপুল থেকে নামার সময় দ্রুতগতিতে থাকা মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিভাসের। বাকি দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় ছিল ওই যুবকেরা।
শহরবাসী অবশ্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দিকেই আঙুল তুলছে। শহরবাসীর অভিযোগ, হেলমেটবিহীন বাইক চালকদের মাঝেমধ্যে ধরা হলেও বেপরোয়া বাইক চালকদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কড়া পদক্ষেপ দেখা যায় না। খড়্গপুরের বাসিন্দা স্বপন কর্মকারের কথায়, “রাস্তা একটু ফাঁকা হলেই বাইকের গতি বাড়ে। পথে চলতে ভয় হয়। এই বেপরোয়া বাইক চালকদের চিহ্নিত করে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
যদিও পুলিশের দাবি, প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন অংশে বেপরোয়া বাইক চালকদের ধরা হয়। এর আগেও ওই যুবকদের ধরে বেশ কিছুক্ষণ আটক করে রাখার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ভবিষ্যতে আরও কড়া হওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy