এখনই ২০১৯-এর লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ঘর গোছাচ্ছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে খড়্গপুর শহর বিজেপির সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস হল। একটি মণ্ডল কমিটি ভেঙে তিনটি করা হল। খড়্গপুর সদরের বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশে এই পুনর্বিন্যাস বলে দল সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুরে দলের জেলা কার্যালয়ে এই পুনর্বিন্যাসের কথা ঘোষণা করে দলের জেলা সভাপতি ধীমান কোলেবলেন, “জেলার অন্যত্রও পুনর্বিন্যাস হবে। খড়্গপুর দিয়ে শুরু হল।’’
লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তিকে আরও তরুণ করতে চাইছে বিজেপি। তাই এই সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস। সাধারণত, শহর কিংবা ব্লকে দলের একটি মণ্ডল কমিটি থাকে। এ বার এই কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে গেরুয়া-শিবির। মণ্ডল কমিটি গড়ার ক্ষেত্রে শহর কিংবা ব্লক দেখা হবে না। ৮০ থেকে ১০০টি বুথ নিয়ে মণ্ডল কমিটি হবে।
দিন কয়েক আগে খড়্গপুরে এসে সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সেরে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু। এ দিন ঘোষণা হল মাত্র। রেলশহরে ৩৫টি ওয়ার্ড। খড়্গপুর শহর উত্তর মণ্ডলে থাকছে ১৩টি ওয়ার্ড, দক্ষিণ মণ্ডলে ১৩টি ও মধ্য মণ্ডলে ৯টি ওয়ার্ড। এতদিন বিজেপি-র খড়্গপুর শহর সভাপতি ছিলেন উত্তম বেরা। তাঁকে দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি করা হয়েছে। উত্তর মণ্ডলের সভাপতি অভিষেক অগ্রবাল। মধ্য মণ্ডলের সভাপতি পি সোমনাথম। অভিষেকরা তরুণ। অভিষেক এক সময় যুব মোর্চার শহর সভাপতি ছিলেন।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির সংগঠনে রদবদলের দাবি উঠছিল। দলের একাংশ চেয়েছিলেন, কাজের নিরিখে নেতৃত্ব ঠিক হোক। যাঁরা দলটা করেন, সময় দেন, তাঁদেরই নেতৃত্বে আনা হোক। এই দাবিকে মান্যতা দিচ্ছে গেরুয়া-শিবির। জানা গিয়েছে, নতুন মণ্ডল কমিটিতে তাঁদেরই জায়গা দেওয়া হবে, যাঁরা দলে সময় দেন। মণ্ডল কমিটিতেও তরুণ মুখ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কোন্দল ঠেকাতে শৃঙ্খলাতেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, তৃণমূল-বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন নেতৃত্ব।