বালুঘাটা রেঞ্জে শনিবার লাগানো হচ্ছে চারা গাছ। নিজস্ব চিত্র।
এক বছরের মধ্যে দু’বার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী থেকেছে পূর্ব মেদিনীপুরে সমুদ্র এবং নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। প্রাকৃতিক সম্পদ তথা সবুজকে না বাঁচালে জনসাধারণ এ ধরনের আরও ভয়াবহ দুর্যোগের শিকার হতে পারে বলে জানাচ্ছে পরিবেশবিদ থেকে বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
হলদিয়ায় গত বছর আমপানের সময় পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ উপকূল অঞ্চলে একাধিক বনাঞ্চলে কয়েক লক্ষ গাছ ভেঙে হয়েছিল। এ দিন হলদিয়ার বিভিন্ন বনাঞ্চলে উৎপাটিত ঝাউ গাছগুলি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এরই সঙ্গে নতুন করে গাছ লাগানোর প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এদিন হলদিয়ায় বালুঘাটা বনাঞ্চলে এসেছিলেন এডিএফও বলরাম পাঁজা এবং নন্দকুমার রেঞ্জের রেঞ্জার দীপক মণ্ডল। বলরাম বলেন, ‘‘এই বনাঞ্চলকে কিরে আমাদের বেশ কয়েক হেক্টর জায়গার উপরে পুনরায় ঝাউ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’ এ দিন বাজকুল রেঞ্জের নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের জেলিংহাম এলাকায় প্রচুর ঝাউ চারারোপণ করা হয়। লাগানো হয়েছে আমলকি, বহেরা জাতীয় গাছ। কর্মসূচিতে ছিলেন বিট অফিসার নারায়ণচন্দ্র গিরি ও নন্দীগ্রাম-১ এর বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত।
কোভিড সুরক্ষা বিধি মেনে এ দিন হলদিয়া রিফাইনারিতে পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। হলদিয়া রিফাইনারি কর্মীদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে পরিবেশ সতর্কতার পাঠ দেওয়া হয়। হলদিয়া রিফাইনারির পক্ষ থেকে পরিবেশ সচেতনার রথ প্রদর্শন করা হয়। রথের উদ্বোধন করেন হলদিয়া রিফাইনারির প্ল্যান্ট হেড পার্থ ঘোষ।
নিমতৌড়িতে তমলুক উন্নয়ন সমিতির পরিচালনাধীন হোমে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে চারা রোপন করা হয়। হোমের আবাসিকদের হাতে তৈরি মেহগনি, বকুল, কৃষ্ণচুড়া, সোনাঝুরি প্রভৃতি গাছের চারাও বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করা হয়েছে। হোমের পরিচালন কমিটি’র সম্পাদক যোগেশ সামন্ত বলেন, ‘‘কোলঘাট থেকে নন্দকুমার হাইরোড পর্যন্ত হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে তিন হাজার ৫০০টি বকুল চারা লাগিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। এদিন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত চারাগাছ বিতরণের কর্মসূচি চলবে।’’
তমলুক এবং নিমতৌড়ি সায়েন্স সোসাইটির উদ্যোগে শহরের আবাসবাড়ি চরে ইয়াস ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা স্যানিটাইজ়েশন করা হয় ও ১০০ টি পরিবারের হাতে ব্লিচিং পাউডার, মাস্ক, বিস্কুট এবং দুধের প্যাকেট বিলি করা হয়।
এগরায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসে রেড ভলান্টিয়ার্সদের উদ্যোগে চারারোপণ কর্মসূচি হল। এ দিন প্রতাপদিঘি ইউনিট রেড ভলান্টিয়ারেরা চারারোপণ পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তির বাড়ি জীবাণুমুক্ত করেন। পালপাড়া কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে চারারোপণ করা হয়। এগরার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিবেশপ্রেমী মানুষদের ফলের চারা বিতরণ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy