Advertisement
০৩ মে ২০২৪

জীর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকির যাতায়াত

জীর্ণ কংক্রিটের সেতু ভেঙে পড়েছিল ২০০৯ সালে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয়েছিল এক যুবকের। কিন্তু, সাত বছর পেরোলেও নতুন কংক্রিটের সেতু তৈরি হয়নি। রেলিংহীন সংকীর্ণ জীর্ণ কাঠের সেতুই এখন ভরসা পটাশপুরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের।

এই সেই কাঠের সেতু। নিজস্ব চিত্র।

এই সেই কাঠের সেতু। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটাশপুর শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৬ ০০:৫৯
Share: Save:

জীর্ণ কংক্রিটের সেতু ভেঙে পড়েছিল ২০০৯ সালে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয়েছিল এক যুবকের। কিন্তু, সাত বছর পেরোলেও নতুন কংক্রিটের সেতু তৈরি হয়নি। রেলিংহীন সংকীর্ণ জীর্ণ কাঠের সেতুই এখন ভরসা পটাশপুরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের। যে কোনও সময় যে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা মানছেন শাসক দলের পঞ্চায়েত সমিতিও।

সিংদা খালের উপর সাহাপুর ও তারট গ্রামের মাঝে অবস্থান এই সেতুটির। ব্রজলালপুর, শ্রীরামপুর ও পটাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বড় অংশের মানুষ প্রতিদিন কাজে যান এই সেতু পেরিয়েই। এলাকায় উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য ও নিত্য ব্যবহার্য পণ্য আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রেও একমাত্র ভরসা ওই সেতু। স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল মাইতি, সনাতন বেরাদের বক্তব্য, ‘‘শুধু সাইকেল, মোটরবাইক নয়, ইঞ্জিন রিক্সা করে নিয়মিত পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ হয় ওই সেতুর উপর দিয়ে। একে রেলিং নেই। তার উপর ৬০ ফুট লম্বা ওই সেতুটির বিভিন্ন অংশে কাঠের তক্তা ভেঙে গিয়েছে। গাড়ি উঠলেই সেতুটি নড়বড় করে।’’ সরমা সাউ, শঙ্করী দাসরা বলেন, “রেলিংবিহীন এই সেতু থেকে গভীর খালে পড়ুয়ারা পড়ে গেলে মৃত্যু অনিবার্য। ভয় লাগে কিন্তু উপায় নেই।’’

ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুটি করার দায়িত্ব সেচ দফতরের। পটাশপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ পীযূষকান্তি পণ্ডা এই এলাকা থেকেই নির্বাচিত। সমস্যার কথা স্বীকার করে তাঁর দাবি, ‘‘নতুনপুকুর থেকে এই সেতু হয়ে সাতষণ্ডা গ্রাম পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকা করার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এই রাস্তা ও সেতু হলে পটাশপুরের দু’টি ব্লকের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।’’ সেচ দফতরের কাঁথি বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন পণ্ডিত বলেন, “ওই স্থানে কংক্রিটের সেতু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামত করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bridge traveling
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE