Advertisement
E-Paper

ঘটছে দুর্ঘটনা, তবু ছবি বদলাচ্ছে কই

পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘এ নিয়ে বহু মামলা হয়েছে। ইমারতির জিনিসও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে না।

শান্তনু বেরা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ১০:০০
দখল: কাঁথি-জুনপুট সড়কের দারে বোল্ডারের গুঁড়োর স্তূপ। নিজস্ব চিত্র

দখল: কাঁথি-জুনপুট সড়কের দারে বোল্ডারের গুঁড়োর স্তূপ। নিজস্ব চিত্র

বার বার দুর্ঘটনা ঘটলে তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কোনও তাগিদ নেই। ফলে বদলাচ্ছে না রাস্তার ধারে ইমারতির জিনিস ফেলে রাখার ছবিও।

কী জাতীয় বা রাজ্য সড়ক, কী গ্রামীণ রাস্তা—বাদ নেই কোনওটাই। রাস্তার উপর ইমারতির জিনিস রাখায় সংকীর্ণ পথে যান চলাচলে দুর্ঘটনা প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঁথির রামনগর-এগরা ও কাঁথি–জুনপুট সড়কে। মাস কয়েক আগে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক অভিযানে এগরা-কাঁথি রাস্তার উপর ইট, বালি, স্টোনচিপস ফেলা বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু নজরদারি কমতেই ফের যে কে সেই। যদিও কাঁথি-জুনপুট সড়কে এখনও পুলিশি অভিযান হয়নি। ফলে বহাল তবিয়তে চলছে রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য ফেলে ব্যবসা।

পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘এ নিয়ে বহু মামলা হয়েছে। ইমারতির জিনিসও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে না। এ বার মাইকে প্রচার করে সচেতন করার পাশাপাশি আচমকা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ধরা পড়লে সমস্ত ইমারতি দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হবে।’’

রামনগর-এগরা সড়কের উপর রাখা ইট।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনগর-এগরা রাস্তার ধারে ইমারতি সামগ্রী ফেলে রাখার কারণে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের। আহত হয়েছেন অনেকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার ধারে এমনিতেই ফুটপাত বলে কিছু নেই। ফলে রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। তার উপর এ ভাবে রাস্তা বেদখল হয়ে গেলে তাঁরা যাবেন কোথায়! সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন বয়স্করা। শুধু ইমারতি দ্রব্য নয়, রাস্তার ধারে গজিয়ে উঠছে অনেক দোকান। কোথাও সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে লরি, ট্রেকার, টোটো। পুলিশ মাঝেমধ্যে তুলে দিলেও কিছুদিন পরে ফের তারা বসে পড়ে। প্রায় একই অবস্থা কাঁথি-জুনপুট সড়কেও। রাস্তার দু’দিকে ডাঁই করে ফেলে রাখা হয় ইমারতির জিনিস। এ সব বন্ধে প্রশাসন অবিলম্বে ব্যাবস্থা নিক, এমনটাই চাইছেন মানুষ।

এক ইমারতি ব্যবসায়ীর সাফাই, ‘‘আমাদের গুদাম আছে। কিন্তু ইমারতি সামগ্রীর পরিমাণ এত বেশি থাকে যে রাস্তার ধারই ভরসা। তা ছাড়া ক্রেতাদের দিতেও সুবিধা হয়।’’ রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘সরকারি জমি ব্যবহার করে ব্যবসা মেনে নেওয়া যায় না। এ সব বন্ধ করতে পুলিশকে অভিযান চালাতে আর্জি জানিয়েছি।’’

Accident Road constructing materials কাঁথি Contai
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy