লন্ডভন্ড ঘর। —নিজস্ব চিত্র।
ভরদুপুরে রেলের এক ইঞ্জিনিয়ারের কোয়ার্টারে ডাকাতির ঘটনা ঘটল হলদিয়ায়। এ দিন দুপুরে রেলের হলদিয়ার সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার জয়দেব বর্মনের কোয়ার্টারের ঘটনা। মাস ছ’য়েক আগে একইভাবে হলদিয়া বন্দরের আবাসন এলাকায় এক সরকারি আধিকারিকের বাংলোয় চুরির ঘটনা ঘটেছিল। জয়দেববাবুর দাবি, দুষ্কৃতীরা প্রায় চার লক্ষ টাকার সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। এ দিন পুলিশে ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেন জয়দেববাবু। পুলিশ সূত্রে খবর, চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জয়দেববাবুর বলেন, ‘‘এ দিন সকাল দশটার সময় কোয়ার্টার ছেড়ে ডিউটিতে বেরিয়েছিলাম। আমার স্ত্রী সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ হলদিয়া টাউনশিপে মেয়ের স্কুলে ফি দিতে যায়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাঁকাই ছিল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পাঁচিল টপকে দুষ্কৃতীরা কোয়ার্টারে ঢোকে। বাথরুমের দিকের কাঠের জানালা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢোকে তারা। শোওয়ার ঘরে আলমারিতে চাবি লাগানো ছিল। ওই চাবি দিয়ে আলমারি খুলে প্রায় ১৪০ গ্রাম সোনার গয়না, এক কেজি ওজনের রুপোর গয়না ও মূর্তি, একটি এটিএম কার্ড, নগদ ১২ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।’’ জয়দেববাবু আরও বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী বাড়িতে ফিরে এসে বিষয়টি দেখার পর আমাকে ফোন মারফত খবর দেয়। আমি বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি।’’
জয়দেববাবুর স্ত্রী রিনা বর্মন জানান, বাড়ি ফিরে ঘরের সদর দরজার তালা খুলে দেখি, ভেতরের অন্য ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাছাড়াও আলমারি, বিছানাপত্রও অগোছালো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।’’ রেল কলোনির বাসিন্দা রেলের জুনিয়ার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার গোপীনন্দন দাস বলেন, ‘‘বছর দু’য়েক আগে আমার কোয়ার্টারে চুরি চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। তবে সেমবার তারা সফল হয়নি।’’ একইভাবে, হাতিবেড়িয়া রেল কলোনির বাসিন্দা অর্পিতা দাস, শ্রাবণী মাইতি বলেন, ‘‘আগেও রেল কলোনিতে কোয়ার্টারে চুরি হয়েছে। কয়েক মাস আগেই একটি কোয়ার্টার থেকে মোটরবাইকও চুরি হয়। দিনের বেলায় এ ভাবে চুরি হলে কার ভরসায় থাকব। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy