অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিন শতরান করেছিলেন অ্যালেক্স ক্যারে। তবে তাঁর ইনিংসে তৃতীয় আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হয়। সেই নিয়ে এ বার হস্তক্ষেপ করল আইসিসি। ইংল্যান্ডের যে রিভিউ নষ্ট হয়েছিল তা ফিরিয়ে দিল তারা। ক্ষমা চেয়েছে প্রযুক্তির নির্মাতা সংস্থাও।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ৬৩তম ওভারে ঘটনাটি ঘটে। জশ টংয়ের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন ক্যারে। বল জমা পড়ে উইকেটকিপারের হাতে। বোলার এবং উইকেটকিপার, দু’জনেই একসঙ্গে আউটের আবেদন করেন। মাঠের আম্পায়ার আবেদন নাকচ করায় ইংল্যান্ড রিভিউ নেয়। তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লেতে ‘স্নিকোমিটার’ (যার সাহায্যে বোঝা যায় বল ব্যাটে লেগেছে কি না) প্রযুক্তির সাহায্য নেন। তবে বল ব্যাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রেখচিত্র কোনও কম্পন ধরা পড়েনি। ফলে তৃতীয় আম্পায়ারও আউট দেননি। যদিও ম্যাচের পর ক্যারে এসে স্বীকার করে নেন, বল সম্ভবত তাঁর ব্যাটে লেগেছিল।
প্রথম দিনের খেলা শেষের পর ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এবং ম্যানেজার ওয়েন বেন্টলি কথা বলেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো-র সঙ্গে। আইসিসি-কেও অনুরোধ করেন প্রযুক্তি খুঁটিয়ে দেখতে। সেই আবেদনে সাড়া দেয় আইসিসি। প্রযুক্তি নির্মাতারা ক্ষমা চাওয়ার পর ইংল্যান্ডকে ওই রিভিউ ফিরিয়ে দিয়েছে আইসিসি। ক্যারে শতরান করে অস্ট্রেলিয়াকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন।
‘স্নিকোমিটার’-এর নির্মাতা সংস্থা বিবিজি স্পোর্টস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘটনার রিপ্লে দেখার সময় ভুল স্টাম্প মাইক ব্যবহার করা হয়েছে। ভুলের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তারা নিয়েছে। ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ ডেভিড সেকার এই প্রযুক্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। বলেছেন, “দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর এটা আলোচনার কোনও বিষয়ই নয়। এখন প্রযুক্তি এত উন্নত। তার পরেও এই ভুল হওয়া কাম্য নয়।”
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৩৭১ রানে। অর্ধশতরান করেন মিচেল স্টার্ক। জবাবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের রান ৫ উইকেটে ১৩৬। হ্যারি ব্রুক (৪৫) বাদে কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স এবং নেথান লায়ন।