ভরদুপুরে বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙে চুরির অভিযোগ উঠল মেদিনীপুরে। মঙ্গলবার মেদিনীপুরের রবীন্দ্রনগরের ঘটনা। কালেক্টরেট থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই চুরির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে শহরের নিরাপত্তা।
রবীন্দ্রনগরে অশোক পাহাড়ির বাড়ির একতলায় ভাড়ায় থাকেন প্রবীরকুমার রায়। প্রবীরবাবু মেদিনীপুর জেলা পরিষদে কর্মরত। কাজে বেরনোয় দুপুরে দরজা তালাবন্ধ থাকে। রোজ দুপুরে হবিবপুরে মেয়ের বাড়ি যান অশোকবাবু। ফলে দুপুরে বাড়ি ফাঁকাই থাকে। সেই সুযোগে এ দিন দুপুরে ব্যাঙ্কের কিছু দরকারি কাগজপত্র নিতে বাড়ি আসেন তিনি। অভিযোগ, বাড়ি ঢুকে তিনি দেখেন ঘরের ভিতরে সবকিছু লন্ডভন্ড।
প্রবীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘বাইরের গেটের তালা খুলে বাড়িতে ঢুকে দেখি সারা ঘর তছনছ হয়ে রয়েছে। আলমারি ভাঙা। জামাকাপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আলমারিতে নগদ তিরিশ হাজার টাকা নেই। কোনও কিছু জামাকাপড় নেই। একটি সাইকেল ও রান্নাঘরের গ্যাস ওভেনের বার্নারও চুরি গিয়েছে।’’ বাড়ির মালিক অশোকবাবুর কথায়, ‘‘দুপুরবেলা বাড়িতে কেউ থাকে না, সেই সুযোগেই এই ঘটনা ঘটে গেল। জনবহুল এলাকায় দরজা ভেঙে চুরির ঘটনায় আমর আতঙ্কিত। নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের আরও নজর দেওয়া উচিত।’’
স্থানীয় পলাশকান্তি মণ্ডলের দাবি, ‘‘এ দিন দুপুরে হাফ প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা দু’জন যুবককে ওই বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয়। জিঞ্জাসা করলে তাঁরা বলে পুরসভার লোক, নর্দমা পরিষ্কার করতে এসেছে।’’ এই কথা শুনে পলাশবাবু চলে যান। পরে বাড়ি ফিরে চুরির কথা শোনেন পলাশবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে দুটিকে দেখলে চিনতে পারব।’’ স্থানীয় রূপা লোহারের বক্তব্য, ‘‘দুপুর একটা নাগাদ কিছু একটা ভাঙার শব্দ পাই। কারও বাড়িতে কাজ হচ্ছে ভেবে গুরুত্ব দিইনি। পরে এই ঘটনার কথা শুনি।’’
দিন কয়েক আগেই রাতের অন্ধকারে শহরের দু’টি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। তারপরেই রাস্তায় পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি তোলেন শহরের একাংশ বাসিন্দা। তারপরে ফের ভরদুপুরে চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এলাকার কাউন্সিলর তথা মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান বলেন, ‘‘শহরের বড় রাস্তায় পুলিশ টহল দেয়। গলিপথে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো উচিত।’’ পুলিশ জানিয়েছে, শহরের রাস্তায় নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।