Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

পশ্চিম মেদিনীপুরে কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বন্ধ হচ্ছে অস্থায়ী হাসপাতাল

ডেপুটি সিএমওএইচ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানান, গত ১৫ দিন ধরে কোন রোগী না আসায় আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার চালু করা হবে।

করোনা রোগী না থাকায় বন্ধ হাসপাতাল। —নিজস্ব চিত্র

করোনা রোগী না থাকায় বন্ধ হাসপাতাল। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ২১:১৪
Share: Save:

করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য তৈরি একটি অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ১৫ দিন তাঁতিগেড়িয়া এলাকার ওই স্যাটেলাইট হেলথ ফেসিলিটিতে কোনও রোগী না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সামান্য লক্ষণ থাকা রোগীদের জন্য আয়ুশ করোনা হাসপাতালের অধীনে তাঁতিগেড়িয়া এলাকায় বিশেষ ভবঘুরে আবাসনে তৈরি করা হয়েছিল ওই স্য়াটেলাইট হেলথ ফেসিলিটি।

একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২১ নভেম্বর থেকে আপাতত কেন্দ্রটি বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন। ওই কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স-সহ অন্য কর্মীদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। জেলাশাসকের অনুমতি পাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। ডেপুটি সিএমওএইচ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানান, ওই শেল্টারে গত ১৫ দিন ধরে কোন রোগী না আসায় আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার চালু করা হবে।

আশঙ্কা ছিল পুজোর পরে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। সে জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। হাসপাতালের পাশাপাশি এই ধরনের কেন্দ্রগুলির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসলেশন ওয়ার্ডে চলতি মাসের ১০ তারিখে চালু করা হয় এইচডিইউ ওয়ার্ড। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিদর্শনে যান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের করোনা সংক্রান্ত বিশেষ অফিসার গোপালকৃষ্ণ ঢালি।

আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ কল্যাণের, আলোচনার সঙ্গে কি দল কঠোর হচ্ছে

বৃহস্পতিবার জেলাতে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন। বুধবার ৫০, মঙ্গলবার ৭৮, সোমবার ৪৫, রবিবার ২৫, শনিবার ৪৩ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৮ জন। আয়ুশ করোনা হাসপাতালে ১৮, শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ২২ জন, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৫ জন, খড়গপুর সেফ হোমে ৩ জন। ডেবরা ও আয়ুশ স্যাটেলাইটে রোগী ভর্তি নেই।

আরও পড়ুন: রাজ্যে ৩৫৬? জল্পনা উস্কে দিলেন দিলীপ, ‘হিম্মত’ থাকলে করে দেখাক: ব্রাত্য

জেলাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার, আরটিপিসিআর পরীক্ষা হয়েছে প্রায় ৯১ হাজার, ট্রুন্যট পরীক্ষা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার। জেলায় এক সময় দিনে ১০০০ এর বেশি পরীক্ষা হত। কোন দিন আবার ১৫০০ ও হয়েছে। জেলায় করোনা সুস্থতার হার ৯৫ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১.৫ শতাংশ। জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে ৩০টি কেন্দ্রে। নিমাই বলেন, করোনা হাসপাতালগুলিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেক কমেছে। হোম আইসোলেশন এ রয়েছে ৫৪৭ জন, সেফ হোমে ৮ জন, জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২২৫ জনের। জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত ১৫৪৪৯ জন। মোট কোয়রান্টিন সেন্টার রয়েছে ৪৫ টি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE