বন দফতরের সম্মান।—নিজস্ব চিত্র।
ঘুড়ির মাঞ্জায় জখম চিলকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল ওরা। যদিও পশু হাসপাতাল বন্ধ থাকায় চিকিৎসার অভাবে পাখিটি মারা যায়। শেষ রক্ষা না হলেও মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা দুই কিশোর বাসুদেব তুরকালি ও সৌরভ ভুঁইয়ার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাল বন দফতর। মঙ্গলবার বন দফতরের রূপনারাণ বিভাগের ডিএফও অফিসে বাসুদেব ও সৌরভের হাতে বই, ফুল তুলে দেন বন দফতরের আধিকারিকরা। তাদের শিক্ষককেও সম্মান জানানো হয়। বন দফতরের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আগামী ২৮-২৯ জানুয়ারি লালগড়ে বনবান্ধব উৎসবে ওই দুই ছাত্রকে পুরস্কৃত করার জন্য বন দফতরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানিয়েছি।’’ বন দফতরের কর্মীদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট সার্ভিস এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’-এর পক্ষ থেকেও তাদের সম্মান জানানো হয়। সংগঠনের রূপনারায়ণ বিভাগের সম্পাদক মৃন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই দুই ছাত্র ভাল কাজ করেছে। ওদের উতসাহ দিতেই হবে।’’
মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বাসুদেব আর নবম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া সৌরভ। গত বুধবার তারাই উদ্ধার করেছিল ঘুড়ির মাঞ্জায় জখম চিলটিকে। কলেজ মাঠে ঘুড়ির মাঞ্জায় ডানা কেটে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল চিলটি। মাঠে তখন ক্রিকেট খেলছিল বাসুদেব ও সৌরভ। তারাই সুতো কেটে মুক্ত করে মরমর পাখিটিকে নিয়ে তড়িঘড়ি পৌঁছয় শহরের পশু হাসপাতালে। কিন্তু তখন সন্ধে ছ’টা। হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে শুশ্রূষা করে পাখিটিকে বন দফতরের জিম্মায় দিলেও তাকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy