এতদিন আবেদন করলেও সংশয়ে থাকতেন অনেকেই। বারবার আবেদন করলেও অনেক সময়ে মিলত না বার্ধক্য ভাতা। তবে এবার সেই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। কারণ দুয়ারে সরকার।এই শিবিরে এবার বার্ধক্য ভাতার বিষয়ে আবেদন করা যাচ্ছে। তাই বয়স্কদের ভিড়ও বাড়ছে সেখানে।
জানা গিয়েছে, এতদিন দুয়ারে সরকারে বার্ধক্য ভাতার আবেদন নেওয়া হলেও প্রকল্পটি সরাসরি এর অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তবে এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই আবেদন নেওয়া হচ্ছে সেখানে। সেই কারণেই অনেকটাই নিশ্চিন্ত আবেদনকারীরা। তাঁরা মনে করছেন, আজ না হোক কাল ভাতা মিলবেই। ঘাটাল ব্লকের কোমরসার বাসিন্দা সুকুমার ঘোষ বলছিলেন, “ভাতা দেওয়া হবে বলেই তো দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন নেওয়া হচ্ছে। তাই বার্ধক্য ভাতা নিয়ে আর সংশয় নেই।”
বার্ধক্য ভাতা নিয়ে জটিলতা অনেকদিনের। এক সময় কোটার গেরোয় আটকে থাকত এই ভাতা। এখন অবশ্য সেই সমস্যা নেই। রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ দফতর তরফে বার্ধক্য, বিধবা ও মানবিক ভাতা চালু রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাতা দেয় রাজ্য সরকার। তবে বার্ধক্য ভাতা নিয়ে জটিলতা মিটছিল না।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বিডিও অফিসগুলিতে এমনিতেই নিয়ম করেই বার্ধক্য ভাতার আবেদন জমা পড়ে। এবার দুয়ারে সরকারে এর জন্য আলাদা কাউন্টার খোলা হয়েছে। ফলে আবেদনের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এমনিতে ঘাটাল মহকুমার এক-একটি ব্লকে গড়ে আট-দশ হাজার বার্ধক্য ভাতার আবেদন জমে রয়েছে। এর আগে যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাঁদের এর জন্য নতুন করে আর আবেদন করতে হবে না। কারণ তাঁরা ইতিমধ্যেই সরকারি ভাবে নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছেন। অনুমোদন মিললেই তাঁদের ভাতা চালু হয়ে যাবে। যাঁরা এখনও করেননি শুধু তাঁদেরই আবেদন নেওয়া হচ্ছে দুয়ারে সরকারে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকারে এবার বার্ধক্য ভাতার জন্য আলাদা কাউন্টার করা হয়েছে। আবেদন জমা পড়ছে। পুরনো আবেদনও রয়েছে। সরকারি নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)