Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
inauguration

উদ্বোধনের পরেই ভাঙচুর কর্মতীর্থে

পটাশপুর-২ ব্লকের মতিরামপুর পেট্রল পাম্পের অদূরে রাজ্য সরকার তৈরি করেছে কর্মতীর্থ। যার জন্য খরচ হয় প্রায় ২ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। অন্য কর্মতীর্থের মতো এটি বানানোরও উদ্দেশ্য ছিল এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা এখানে সমিতির মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রি করতে পারবেন। ফড়েদের দাপট থেকে মুক্তি পাবেন চাষিরা। কয়েক মাস আগে কোলাঘাটে এক সভা থেকে কর্মতীর্থটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।  

 ভাঙচুরের চিহ্ন। নিজস্ব চিত্র

ভাঙচুরের চিহ্ন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটাশপুর শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৮
Share: Save:

কয়েক কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে কর্মতীর্থ। মাস দু’য়েক আগে সেই কর্মতীর্থের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু উদ্বোধনের কিছু দিন পরেই সেই কর্মতীর্থে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

পটাশপুর-২ ব্লকের মতিরামপুর পেট্রল পাম্পের অদূরে রাজ্য সরকার তৈরি করেছে কর্মতীর্থ। যার জন্য খরচ হয় প্রায় ২ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। অন্য কর্মতীর্থের মতো এটি বানানোরও উদ্দেশ্য ছিল এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা এখানে সমিতির মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রি করতে পারবেন। ফড়েদের দাপট থেকে মুক্তি পাবেন চাষিরা। কয়েক মাস আগে কোলাঘাটে এক সভা থেকে কর্মতীর্থটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

অভিযোগ, উদ্বোধনের পরেই কর্মতীর্থের জানলা, দরজার কাচ ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা গেল, কাচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চারিদিকে। প্রকল্প এলাকার লাইট এবং সামনে থাকা কর্মতীর্থ লেখা ইলেকট্রিক সাইনবোর্ডও চুরি করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, প্রকল্প এলাকায় ঢোকার লোহার গেট থাকলেও তা পেরিয়ে রাতে মদ্যপদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে গোটা কর্মতীর্থ।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘কোনও নিরাপত্তা না থাকায় গোটা বিল্ডিং ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। আলো, বিদ্যুতের তার-সহ সাইনবোর্ড চুরি করেছে। সন্ধ্যা নামলেই মদ্যপদের দখলে চলে যায় গোটা এলাকা। সন্ধ্যায় পর এই রাস্তা দিয়ে ভয়ে কেউ যাতায়াত করে না।’’ রাত নামলেই যে মতিরামপুরে কর্মতীর্থ দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যায়, তা মানছেন একাধিক বাসিন্দাও।

পটাশপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ বলেন, ‘‘কর্মতীর্থ ভাঙচুর এবং জিনিসপত্র চুরির বিষয়টি জেলা পরিষদে ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প দফতরে জানানো হয়েছে। তাদের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। এখানে পঞ্চায়েত সমিতির ভূমিকা নেই।’’

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ওই কর্মতীর্থটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। ওই আধিকারিক মৃণালকান্তি দাস বলেন, ‘‘একটি সমিতির তত্ত্বাবধানে কর্মতীর্থ চালু হওয়ার কথা রয়েছে। কিছু সমস্যার কারণে সেই প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা প্রকল্প এলাকার বিল্ডিং, জানলার কাচ ভাঙচুর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Inauguration Karma Tirtha Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE