সিগন্যাল জ্বলছে ইন্দা মোড়ে। তবে গাড়ি চলছে নিজের খেয়ালে। নিজস্ব চিত্র।
সিগন্যাল মেনে চলার বালাই নেই! সিগন্যাল মানতে গিয়েও ঘটছে ‘বিপদ’।
দিন কয়েক আগে খড়্গপুর শহরে রাস্তায় সিগন্যাল দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে একটি গাড়ি। পিছন দিক থেকে আসা মোটরবাইকের অবশ্য সে সব মানার বালাই নেই। গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারল বাইক। তাই নিয়ে শুরু হল বচসা। দেখেও দেখল না পুলিশ। রেলশহরের রাস্তায় এই ছবি অনেকেরই চেনা।
২০১০ সালে খড়্গপুর পুরসভার তৃণমূল পুরবোর্ড যান নিয়ন্ত্রণে শহরে সিগন্যাল বসানোর পরিকল্পনা হয়। ২০১১ সালে শহরের ইন্দা মোড় ও পুরাতনবাজার মোড়ে চালু হয় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা। সিগন্যাল চালু হলেও নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। অভিযোগ, লাল বাতি জ্বললেও দাঁড়ায় না অধিকাংশ গাড়ি। প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের জহরলাল পাল বলেন, “পুরপ্রধান থাকাকালীন কেন্দ্রীয় পরিবহণ দফতরের টাকায় দু’টি জায়গায় সিগন্যাল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। গাড়িগুলি সিগন্যাল মেনে চলছে কি না তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশের উপর। সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকর করা উচিত ছিল পুলিশের।’’
এই দু’টি রাস্তা ছাড়াও শহরের ঝাপেটাপুর, কৌশল্যা, বড়বাতি, অরোরা গেট, সাহাচক-সহ আরও ন’টি জায়গায় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা হয়। তদানীন্তন পুরপ্রধান জহরলালবাবু বলেন, “সিগন্যাল ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ওই টাকায় শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে লোহার গার্ডওয়াল ও ন’টি জায়গায় সিগন্যাল চালুর পরিকল্পনা করেছিলাম। পরবর্তী পুরবোর্ড আর উদ্যোগী হয়নি।”
শহরের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘আধুনিক শহরের রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই সিগন্যাল ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত। খড়্গপুরে এখনও সেই কাজই হয়নি। আর শহরের যে দু’টি রাস্তার মোড়ে সিগন্যাল আছে, তা সকলে মেনে চলছে কি না, সেটা দেখারও কেউ নেই।’’ ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর শহরের ইন্দা মোড়ে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপরেই শহরে সিগন্যাল ব্যবস্থা সক্রিয় করার দাবি ওঠে। যদিও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ইন্দার বাসিন্দা সাহিত্যিক তথা রেলকর্মী অনুপম পালোধী বলেন, “কেন শহরের রাস্তায় সিগন্যাল চালু হয়েছিল সেটাই বড় প্রশ্ন। সিগন্যাল কার্যকর করতে কোনও সময় পুলিশ সক্রিয় হয়নি। পুরসভা এ বিষয়ে উদ্যোগী হোক।’’ খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “সিগন্যালের বিষয়টি সঠিক জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy