ভরা গরমে মাছের বাজারে হঠাৎ দেখা মিলছে খোকা ইলিশের। সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বাড়াতে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে যখন শুরু হতে চলেছে মাছ ধরার ‘ব্যান পিরিয়ড’, তার ঠিক সপ্তাহ খানেক আগে এগরা, কাঁথির বিভিন্ন বাজারে খোকা ইলিশের রমারমায় চিন্তিত পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং একাংশ মৎস্যজীবীরা। প্রশ্ন উঠছে নজরদারি নিয়েও।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গোটা মার্চ জুড়ে কাঁথি ও এগরা-সহ জেলার বিভিন্ন খোলা বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে খোকা ইলিশ। সেগুলির ওজন মাত্র ১০০ গ্রাম থেকে ২৫০ গ্রাম। কিছু কিছুর ওজন ৩৫০ গ্রামের বেশি। মাছগুলি বাজারে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে বিক্রি হচ্ছে। চন্দন পড়িয়া নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বলছেন, ‘‘মাছের আড়ত থেকে আমরা খোকা ইলিশ নিয়ে আসি। চাহিদা মতো বাজারে বিক্রি করে থাকি। অসময়ে ইলিশ আসায় খুচরো বাজারগুলিতে ক্রেতাদেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।’’
সরকারি তথ্য বলছে, এ বার ব্যান পিরিয়ডের আগে মাছের আকালে জেলার বড় বড় বহু ট্রলার মাছ ধরতে সমুদ্রে যাচ্ছে না। তাদের দাবি, যে পরিমাণে মাছ ধরা পড়ছে, তা বেচে লাভ হচ্ছে না। তাই ট্রলার মালিকেরা সমুদ্রে যাওয়া কমিয়েছেন। আর একাংশ মৎস্যজীবী বাধ্য হচ্ছে পেশা পাল্টাতে। এখন বর্ষা আসতে ঢের বাকি। আর গ্রীষ্মের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় এলাকায় এভাবে রাশি রাশি খোকা ইলিশ ধরা পড়লে ভরা মরসুমে দিঘায় ইলিশের আকাল দেখা যাবে বলে অনুমান।
কিন্তু কোথা থেকে আসছে এই খোকা ইলিশ?
একাংশ মৎস্যজীবী জানাচ্ছেন, ভুটভুটি এবং ছোট নৌকাগুলির উপর নজরদারি নেই। এই ভুটভুটিগুলিই দিনের একটা বিশেষ সময়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে বেরিয়ে পড়ে। অধিক উপার্জনের জন্য তারা খোকা ইলিশ ধরতে ৯০ সেন্টিমিটারের নীচের ফাঁস দেওয়া জাল ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ।
কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীবাকর দাস বলছেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে নেই। তবে কোস্টাল এলাকায় নজরদারি দ্রুত বাড়ানো হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)