Advertisement
E-Paper

জল নামতেই সাপের উপদ্রব

পরিজনেরা তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুক্ষণ পরে মেডিক্যালে মারা যান সইদ। শুধু কেশপুর নয়, জলমগ্ন ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা প্রভৃতি এলাকায় সাপের উপদ্রব বাড়ছে। ভয়ে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে বানভাসি এলাকার বাসিন্দাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ০২:৫০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জল সরতেই বাড়ছে সাপের উপদ্রব। সাপের কামড় খেয়ে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেকে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। পরিস্থিতি দেখে ব্লকে ব্লকে পর্যাপ্ত এভিএস মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সমস্যার কথা মানছেন জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানও। তিনি বলেন, “জলমগ্ন এলাকায় সাপের উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। সর্পদষ্টকে হাসপাতালে আনতে হবে। আমরা এটাই প্রচার করছি। সাপের কামড় সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিরও চেষ্টা চলছে।” তাঁর স্বীকারোক্তি, “সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। কেশপুরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। জল একটু কমলে ওই এলাকায় সচেতনতা কর্মসূচি হবে।”

দিন তিনেক আগে জলমগ্ন কেশপুরের ঘোষপুরের মাজুরিয়ায় ঘরে ঘুমিয়েছিলেন সইদ আলি। ভোরবেলায় ঘরে ঢুকে সাপ ছোবল মারে সত্তরোর্ধ্ব সইদকে। পরিজনেরা তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুক্ষণ পরে মেডিক্যালে মারা যান সইদ। শুধু কেশপুর নয়, জলমগ্ন ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা প্রভৃতি এলাকায় সাপের উপদ্রব বাড়ছে। ভয়ে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে বানভাসি এলাকার বাসিন্দাদের।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, কেশপুর-ঘাটাল-চন্দ্রকোনা-দাসপুর প্রভৃতি এলাকায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সাপের কামড় খেয়েছেন। কেউ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, কেউ মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “এই সময়ের মধ্যে সর্পদষ্টের সংখ্যাটা ১২-১৫ হবে।” বেসরকারি সূত্রের অবশ্য দাবি, সংখ্যাটা আরও বেশি। কারণ, প্রায় প্রতিদিনই জলমগ্ন এলাকার কেউ না কেউ সাপের ছোবল খাচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবে সন্ধ্যা নামলে জলমগ্ন এলাকাগুলোয় ভয় বাড়ছে।

জলমগ্ন এলাকায় বাঁধের উপর বেশ কিছু ত্রাণ শিবির রয়েছে। শিবিরে থাকা মানুষজনও নিশ্চিন্তে নেই। সেখানেও সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। সর্পদষ্টকে বাঁচাতে প্রতি ব্লকে পর্যাপ্ত এভিএস মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার ওই স্বাস্থ্যকর্তার দাবি, “এভিএসের সমস্যা নেই। পর্যাপ্ত এভিএস মজুত রয়েছে।” বস্তুত, সাপের বিষের এখন একমাত্র আধুনিক চিকিৎসা হল অ্যান্টিভেনম (এভিএস) বা বিষ প্রতিষেধক। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “সর্পদষ্টকে আগে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সাপ ছোবল মারলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাপটিকে ধরতে চেষ্টা করা, আক্রান্ত জায়গায় কাপড় বাঁধার দরকার নেই।’’

Snake Snake bite
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy