প্রতীকী ছবি।
দলের নির্দেশে স্থায়ী সমিতি থেকে পদত্যাগ করতে শুরু করলেন সদস্যরা। জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, সোমবারই কয়েকজনের পদত্যাগপত্র জমা পড়ে গিয়েছে। বাকিদের আজ, মঙ্গলবার জমা পড়বে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি অজিত মাইতি মানছেন, ‘‘কয়েকজনকে পদত্যাগ করার কথা জানানো হয়েছে। এটা দলেরই নির্দেশ। সেই মতো তাঁরা স্থায়ী সমিতি থেকে পদত্যাগ করেছেন।’’ গত শুক্রবারই বেশ কয়েকজন সদস্যের কাছে দলের এই নির্দেশ পৌঁছেছিল। জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, কম করে ১২ জন সদস্যের পদত্যাগ করার কথা। জেলা পরিষদের এক সদস্যের কথায়, ‘‘এ যেন গণ-পদত্যাগ!’’ এর মধ্যে সোমবার ৯জনের পদত্যাগপত্র জমা পড়ে গিয়েছে।
যাঁরা পদত্যাগ করছেন, তাঁরা পরবর্তী সময়ে নতুন কোনও স্থায়ী সমিতির সদস্য হবেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, ‘‘জেলায় যে সব পদক্ষেপ হচ্ছে তা রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই। কর্মাধ্যক্ষের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। দলনেত্রী যে নির্দেশ দেবেন, তাই জেলায় কার্যকর করা হবে।’’ কেন এই পদত্যাগের পরিস্থিতি তৈরি হল? এ তো নজিরবিহীন? দলের এক সূত্রের দাবি, কর্মাধ্যক্ষদের নাম চূড়ান্ত করতে গিয়েই এই পরিস্থিতি দেখা দেয়। আগে সব স্থায়ী সমিতি গঠন হয়ে গিয়েছিল। বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষদের নিজ নিজ স্থায়ী সমিতির সদস্য করা হয়েছিল। অনেকে অন্য কোনও একটি স্থায়ী সমিতির সদস্য হয়েছিলেন। জেলা নেতৃত্বের প্রাথমিক ধারণা ছিল, বড় কোনও রদবদল হবে না। স্থায়ী সমিতির পাঁচ সদস্যের একজনই কর্মাধ্যক্ষ হন। পরে অবশ্য রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষদের কেউই নিজের পুরনো দফতর পাবেন না। এই নির্দেশ না কি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই। ফলে, এখন কয়েকটি স্থায়ী সমিতি পুনর্গঠন করা ছাড়া আর উপায় নেই।
এই সময়ের মধ্যে জেলার কয়েকজন নেতা কলকাতায় গিয়ে সুব্রত বক্সীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পরে মেদিনীপুরে ফিরে নিজেরা বৈঠকে বসেছেন। পরবর্তী কর্মাধ্যক্ষদের নাম নিয়েই না কি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩০ নভেম্বর ফের জেলা পরিষদের সাধারণ সভা ডাকা হতে পারে। ওই দিনই ‘প্রয়োজন মতো’ কয়েকটি স্থায়ী সমিতির পুনর্গঠন হবে। ১২ ডিসেম্বর কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হতে পারে। জানা যাচ্ছে, সোমবার যাঁদের পদত্যাগপত্র জেলা পরিষদে জমা পড়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শৈবাল গিরি, অমূল্য মাইতি, নির্মল ঘোষ প্রমুখ। পূর্ত-পরিবহণ স্থায়ী সমিতি থেকে পদত্যাগ করেছেন শৈবাল। কৃষি-সেচ স্থায়ী সমিতি থেকে পদত্যাগ করেছেন নির্মল। বিদ্যুৎ স্থায়ী সমিতি থেকে পদত্যাগ করেছেন অমূল্য। এ দিনই কি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন? শৈবালদের জবাব, ‘‘দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কিছু বলব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy