Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Special Train

উরস উৎসবে দুই বাংলার মিলনস্থল মেদিনীপুর, রাজবাড়ি থেকে বিশেষ ট্রেন পৌঁছে গেল শহরে

বাংলাদেশ থেকে তীর্থযাত্রীদের এ দেশে আসার জন্য ১৯০৩ সালে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। এখনও সেই পরিষেবা চালু।

মেদিনীপুর স্টেশনে বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্বাগত জানানোর মুহূর্ত।

মেদিনীপুর স্টেশনে বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্বাগত জানানোর মুহূর্ত। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪৭
Share: Save:

উরস উৎসবকে কেন্দ্র করে দুই বাংলার মিলনস্থল হল মেদিনীপুর শহর। শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ থেকে মেদিনীপুরে এসে পৌঁছল স্পেশাল ট্রেন। শিশু-সহ প্রায় ২,২০০ যাত্রীকে নিয়ে বুধবার বাংলাদেশের রাজবাড়ি থেকে ওই ট্রেনটি ছাড়ে। শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ পৌঁছয় মেদিনীপুর স্টেশনে। আবার ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি।

উরস উৎসবকে কেন্দ্র করে এ বারও সেজে উঠছে মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদ। ‘মওলা পাক’ হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শেদ আলি আল কাদেরির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে উরস পালিত হয়। হজরত মহম্মদের ৩২তম এবং সুফি সাধনার আদিগুরু ‘বড় পীর সাহেব’ হজরত আব্দুল কাদের জিলানির ১৯তম বংশধর মওলা পাক ৪ ফাল্গুন প্রয়াত হন। ওই দিনে দেশ-বিদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের গুরুকে স্মরণ করেন। ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ট্রেনে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা মেদিনীপুরে আসেন।

বাংলাদেশ থেকে তীর্থযাত্রীদের এ দেশে আসার জন্য ১৯০৩ সালে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। এখনও সেই পরিষেবা চালু। তীর্থযাত্রীদের জন্য পানীয় জল, শৌচাগার, রাস্তায় আলো-সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে দু’বছর বাংলাদেশ থেকে ওই বিশেষ ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল। রেলের তরফে জানানো হয়, যাঁদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে উৎসবে আসার সুযোগ হয় না, তাঁদের জন্যই এই বিশেষ ট্রেনের আয়োজন। বস্তুত, উরস ঘিরে প্রতিবারই উৎসবে মাতে মেদিনীপুর। শুধু মুসলমান সম্প্রদায় নয়, সব ধর্মের মানুষই বিশেষ এই দিনে জোড়া মসজিদে হাজির হন। সাত দিন ধরে মেলা চলে। বাংলাদেশ থেকে আসা তীর্থযাত্রীরা ফেরার সময় নানা সামগ্রী কিনে নিয়ে যান। অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র, মাদুর, মিষ্টি ইত্যাদি বিক্রি হয়। তা ছাড়াও ক্ষীরের গজা, মিহিদানা হাঁড়ি ভর্তি করে নিয়ে বাড়ি নিয়ে যান বাংলাদেশিরা।

উরসের সময়ে ভাল ব্যবসা করে হোটেলগুলিও। সব মিলিয়ে এক দিনের উৎসবে কিছুটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে শহরের অর্থনীতি। মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘‘শুক্রবার সকালেই ট্রেনটি মেদিনীপুর স্টেশন এসে পৌঁছয়। তীর্থযাত্রীদের জন্য জল ও টিফিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তা ছাড়া ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হবে। যাতে তীর্থযাত্রীরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে অসুবিধে না হয়, সে জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা হয়েছে।’’ তিনি জানান, রাজ্যের তরফে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আসার কথা রয়েছে।

মেদিনীপুর টাউন মুসলিম কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক তথা মেলা কমিটির সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘‘এ বারেও বাংলাদেশের ট্রেনে করে তীর্থযাত্রীরা আসছেন। অনেক তীর্থযাত্রী বিমানে এবং গাড়িতেও এসে গিয়েছেন। তাঁদের যাতে কোনও রকম কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখছি সকলে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Special Train Bangladeh midnapore West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE