Advertisement
E-Paper

পরীক্ষা নিয়ামকের ইস্তফায় জল্পনা

পদত্যাগ করলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অসীমকুমার সরকার। বুধবারই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৬ ০১:০২

পদত্যাগ করলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অসীমকুমার সরকার। বুধবারই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সুব্রতকুমার দে। সুব্রতবাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ডিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্রে খবর, নতুন পরীক্ষা নিয়ামক না আসা পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব সামলাবেন।

আচমকা কেন ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অসীমবাবু, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। এ দিন চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল বন্ধ ছিল। এ দিন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গেও। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন অসীমবাবু। সে কথা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক জয়ন্তকিশোর নন্দী বলেন, “ব্যক্তিগত কারণেই পরীক্ষা নিয়ামক পদত্যাগ করেছেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্রে খবর, তিনি যে দায়িত্ব ছাড়তে চান, তা সপ্তাহ কয়েক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জনবাবুকে জানিয়ে দিয়েছিলেন অসীমবাবু। তবে তখনই তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। অসীমবাবুকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়নি। বুধবার অবশ্য পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।

কিন্তু কেন ইস্তফা দিলেন অসীমবাবু? বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে নানা কথা। এক সূত্রের দাবি, এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না পরীক্ষা নিয়ামকের। পরীক্ষা নিয়ামক বুঝতে পারছিলেন, তিনি যা করতে চাইছেন, তা করতে পারবেন না। কিছু ক্ষেত্রে বাধা আসবে। অন্য এক সূত্রের আবার দাবি, বনিবনার কোনও ব্যাপার নেই। অসীমবাবু এক কলেজে পড়াতেন। সেখান থেকে ‘লিয়েন’ নিয়ে এখানে এসেছিলেন। ফের কলেজে ফিরে যেতে চান বলেই পদত্যাগ করেছেন।

স্নাতকের পার্ট-টু’র ফলপ্রকাশে বেশি দেরি হওয়ায় এমনিতেই এখন অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। একাধিক ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশন দিয়েছে। ৩১ মে থেকে ২৪ জুন ওই পরীক্ষা হয়েছিল। চার পেরিয়ে পাঁচ মাস হতে চলল। এখনও ফলপ্রকাশ হয়নি। পার্ট-থ্রি’র ফল অবশ্য এ বার দ্রুত প্রকাশ হয়েছিল। তবে সেখানেও প্রশ্ন ওঠে। কারণ, শুরুতে ফল দেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে। সপ্তাহ খানেক পর ছাত্রছাত্রীদের মার্কশিট দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিয়ামকের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের অবশ্য দাবি, “ফলপ্রকাশে দেরি হওয়ার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই।”

এ দিকে, বিজ্ঞান বিভাগের ডিন পরীক্ষা নিয়ামকের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি সামলাবেন কী করে! সুব্রতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের দাবি, “বড় কোনও সমস্যা হবে না। আর খুব বেশি দিন তো এই পদ ফাঁকা থাকবে না। স্থায়ী একজন আসবেনই।”

Speculation examination controller resignation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy