দলের জেলা কার্যালয় স্থানান্তর হোক মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুরে। এমনটাই না কি চাইছেন জেলা বিজেপির একাংশ নেতৃত্ব, দলের অন্দরে যাঁরা দিলীপ ঘোষের অনুগামী হিসাবে পরিচিত। তলে তলে না কি তাঁরা এ নিয়ে তদ্বিরও শুরু করেছেন। অবশ্য এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ জেলা বিজেপির সভাপতি শমিত মণ্ডল। তবে এই চর্চা স্রেফ গুজব বলে উড়িয়েও দেননি তিনি।
সম্প্রতি মেদিনীপুরে দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব রাস্তায় নেমে আসে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। দিলীপ ঘোষের অনুগামীদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সেই দ্বন্দ্বে থানায় অভিযোগও হয়েছে। অভিযোগ, সে দিন জেলা কার্যালয়ে ঢুকতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ হন দিলীপের অনুগামী হিসাবে পরিচিত শমিত। ‘হামলা’র সেই ঘটনাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুভেন্দুর অনুগামী হিসাবে পরিচিত, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন দিলীপের অনুগামীরা।
জেলা কার্যালয় মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুরে স্থানান্তরিত হতে পারে— দলের অন্দরে ক’মাস ধরে এই চর্চা ছিলই। মেদিনীপুরের ওই ঘটনার পরে সেই চর্চা আরও গতি পেয়েছে। অনেকে মনে করাচ্ছেন, দলের রাজ্যস্তরে সমীকরণ যা ই হোক, মেদিনীপুরে দলের সাংগঠনিক ‘রাশ’ বরাবর থেকেছে দিলীপ-অনুগামীদের হাতেই। বর্তমান জেলা সভাপতি শমিতও দিলীপের অনুগামী হিসাবে পরিচিতি। এর আগে জেলা সভাপতি ছিলেন সুদাম পণ্ডিত, তারও আগে জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র— সকলেই দিলীপ-অনুগামী।
দিলীপ-অনুগামীরা মনে করছেন, জেলা কার্যালয় খড়্গপুরে থাকলেই ভাল। খড়্গপুর তাঁদের কাছে অনেক বেশি ‘নিরাপদ’। তাঁদের যুক্তি, অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে সমীকরণ অন্য ছিল। এখন সাংগঠনিক ভাবে বিজেপি মেদিনীপুর এবং ঘাটাল জেলায় বিভক্ত। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মধ্যে সাতটি বিধানসভা রয়েছে। যথাক্রমে— এগরা, দাঁতন, নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, খড়্গপুর (সদর), খড়্গপুর (গ্রামীণ), মেদিনীপুর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)