Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

বইয়ের সুলুক-সন্ধানে ডিজিট্যাল ‘তথ্য ভাণ্ডার’

গ্রন্থাগার দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ২৬ টি জেলা গ্রন্থাগারে থাকা বিভিন্ন বই আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে তালিকাভুক্তির কাজ কয়েকবছর আগে শুরু করা হয়েছে। কলকাতায় থাকা রাজ্য সরকারের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ছাড়াও  বিভিন্ন জেলা গ্রন্থাগারে সেই কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

আনন্দ মণ্ডল
তমলুক শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০০:১৯
Share: Save:

কোন গ্রন্থাগারে রয়েছে পছন্দের বই, মাউসের এক ক্লিকে জেনে নিতে পারবেন পড়ুয়া। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাগারে গিয়েই সেই বইটিও সংগ্রহ করতে পারবেন তিনি। গ্রন্থাগারগুলিতে থাকা বই ও সদস্য সদস্যাদের তথ্য সংবলিত রাজ্যস্তরে তালিকা বা ‘তথ্য ভাণ্ডার ’ তৈরি করছে গ্রন্থাগার দফতর। এর ফলে সহজেই মিলবে পছন্দের বইয়ের খোঁজ।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজ্যের সব জেলা গ্রন্থাগার ও কলকাতার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে থাকা সমস্ত বইয়ের তালিকা নিয়ে ‘গ্লোবাল ডাটা বেস’ তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি সব গ্রন্থাগারের সদস্য, সদস্যাদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে গ্লোবাল মেম্বার্স ডাটা’। এই দুয়ের মেলবন্ধনে সহজ হবে বই খোঁজা। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ পান বলেন, ‘‘শীঘ্রই এই পদ্ধতি চালু হবে।’’

গ্রন্থাগার দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ২৬ টি জেলা গ্রন্থাগারে থাকা বিভিন্ন বই আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে তালিকাভুক্তির কাজ কয়েকবছর আগে শুরু করা হয়েছে। কলকাতায় থাকা রাজ্য সরকারের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ছাড়াও বিভিন্ন জেলা গ্রন্থাগারে সেই কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। এইসব গ্রন্থাগারগুলির বইয়ের নাম, লেখকের নাম এবং ক্রমিক সংখ্যা সহ এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে। এরফলে অনলাইন পদ্ধতিতে পাঠকেরা গ্রন্থাগারগুলির বিভিন্ন বইয়ের তালিকা জানতে পারবে। সমস্ত বই ও সদস্যদের তালিকা নিয়ে রাজ্যস্তরে একটি ‘ডাটা সেন্টার’ তৈরি করা হচ্ছে কলকাতার সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে। এর ফলে রাজ্যের যে কোনও জেলা গ্রন্থাগারের সদস্য-সদস্যা সহ পাঠকেরা রাজ্য গ্রন্থাগার দফতরের ওয়েবসাইট (অনলাইন পাবলিক অ্যাকসেস ক্যাটালগ) ব্যবহার করে খোঁজ নিতে পারবে তাঁদের প্রয়োজনীয় বই কোন কোন গ্রন্থাগারে রয়েছে।

এই পদ্ধতি চালু হলে গ্রন্থাগারগুলিতে প্রকৃত সদস্য-সদস্যা সংখ্যা কত সেই তথ্য পাওয়া যাবে। কতজন সদস্য-সদস্যা প্রতিদিন কোন গ্রন্থাগার থেকে কতগুলি বই নিচ্ছে ও ফেরত দিচ্ছে সেই তথ্যও সহজে হিসেব করতে পারবে গ্রন্থাগার দফতর। তমলুক জেলা গ্রন্থাগারের সদস্য জয়দীপ পণ্ডা বলেন, ‘‘জেলা গ্রন্থাগারে কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বই না পেলে অসুবিধায় পড়তে হয়। বিভিন্ন গ্রন্থাগারের মধ্যে অনলাইন সংযোগ চালু হলে এই সমস্যা মিটবে বলে আশা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Libraby Books
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE