Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

সুজাতার চানাচুরে স্বপ্ন-উড়ান

অভাবের সংসার। বছর কুড়ি স্বামীর মৃত্যুর পর দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। প্রথমে চানাচুর বিক্রি করে হাল ধরেছিলেন সংসারের। তার পরে জুটেছিল পুরসভার ৭৫০ টাকা বেতনের আইপিপি কর্মীর কাজ।

সুজাতা চক্রবর্তী।

সুজাতা চক্রবর্তী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৫৭
Share: Save:

অভাবের সংসার। বছর কুড়ি স্বামীর মৃত্যুর পর দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। প্রথমে চানাচুর বিক্রি করে হাল ধরেছিলেন সংসারের। তার পরে জুটেছিল পুরসভার ৭৫০ টাকা বেতনের আইপিপি কর্মীর কাজ। এখন এলাকাবাসীর ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ করেন। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে প্রেসিডেন্সি কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক। গড়েছেন নিজের বাড়ি। এলাকার ‘লক্ষ্মী’ হয়ে উঠেছেন বছর আটান্নর সুজাতা চক্রবর্তী।

পঁচিশ বছর আগে পেশায় পুরোহিত শিবু চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুজাতার। ১৯৯৮ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর খড়্গপুরের সুভাষপল্লির চক্রবর্তী পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। একটি চানাচুর সংস্থার ‘সেলসম্যান’ হিসাবে কাজ শুরু করেন। তারপর অনেক ঘুরে জোগাড় করেছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীর কাজ। পোলিও টীকাকরণ, সমীক্ষার কাজ চালিয়ে সামান্য বেতন পেতেন। তাই দিয়েই চলত সংসার। সেই সঙ্গে বাপের বাড়ি থেকে আসা সাহায্য দিয়ে পড়াতেন ছেলে-মেয়েকে। বছর কয়েক আগে বিয়ে হয়েছে মেয়ের। ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন। সুজাতা বলছেন, ‘‘শত কষ্টেও লড়াই করেছি। অনেকের সাহায্য পেয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kharagpur Woman Struggle
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE