Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

নিয়ম ভেঙে নৌকোয় যাত্রী তুললে কড়া ব্যবস্থা

নজরদারির অভাবে শান্তিপুরে নৌকাডুবির স্মৃতি এখনও তাজা। বারবার দুর্ঘটনার পরেও মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই নৌকাগুলি চলাচল করে বলে অভিযোগ। বর্ষায় দুর্ঘটনা এড়াতে সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন খেয়াঘাটের নৌকো পরিবহণের লিজ প্রাপ্ত মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

নৌকো যাত্রীদের জন্য প্রতীক্ষালয় নেই। রোদে-বৃষ্টিতে যাত্রীদের ভোগান্তি।

নৌকো যাত্রীদের জন্য প্রতীক্ষালয় নেই। রোদে-বৃষ্টিতে যাত্রীদের ভোগান্তি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪১
Share: Save:

নজরদারির অভাবে শান্তিপুরে নৌকাডুবির স্মৃতি এখনও তাজা। বারবার দুর্ঘটনার পরেও মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই নৌকাগুলি চলাচল করে বলে অভিযোগ। বর্ষায় দুর্ঘটনা এড়াতে সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন খেয়াঘাটের নৌকো পরিবহণের লিজ প্রাপ্ত মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে একাধিক নদী। একদিকে রয়েছে শীলাবতী নদী ও কেটিয়া খাল। কংসাবতী নদী লালগড়, মেদিনীপুর, কেশপুর, ডেবরা, দাসপুর হয়ে বয়ে গিয়েছে। গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, দাঁতন হয়ে গিয়েছে সুবর্ণরেখা নদী। এ ছাড়াও রয়েছে কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, বাগুই, চণ্ডীয়া, তমাল, পারাং, ডুলুংয়ের মতো নদীও। এর মধ্যে অনেক নদীর ঘাটে স্থানীয় মাঝিরাই নৌকো চালান।

জেলার বড় ঘাটগুলিতে নৌকোয় যাত্রী পরিবহণের জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে লিজ দেওয়া হয়। জেলার এখন ২১টি ফেরিঘাটে লিজ দেওয়া হয়। এই ঘাটগুলি নিয়ে অভিযোগও রয়েছে অনেক। কয়েকটি ঘাটে কাদা-জল পেরিয়ে যাত্রীদের নৌকোয় উঠতে হয়। অনেক খেয়াঘাটে যাত্রীদের বসার জায়গা নেই। রোদ-বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করতে হয়। পরিবহণ ক্ষমতার থেকে নৌকোয় অনেক বেশি যাত্রী তোলার অভিযোগও রয়েছে।

তালাবন্ধ প্রতীক্ষালয়। মেদিনীপুরের স্বরূপানন্দ ঘাটে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নৌকোর মাপ অনুযায়ী যাত্রী তুলতে হবে। তবে বাস্তবে তা মানা হয় না বললেই চলে। শুধু অতিরিক্ত যাত্রী নয়, সাইকেল, মোটরবাইক নিয়েই নদী পারপার করে নৌকো। বৈঠকে জানানো হয়েছে, কোনও ভারী জিনিস থাকলে নৌকোয় যাত্রী কম তুলতে হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে দু’পক্ষকেই সচেতন হতে হবে। এ ছাড়াও ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, মাঝি ও কর্মীদের ছবি, ঠিকানাও প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে। ঘাট থেকে নৌকোয় ওঠার সময় কেউ যাতে নদীতে না পড়ে যান সে জন্য ব্যারিকেড বসানোর কথাও বলা হয়েছে।

মেদিনীপুর শহর ঘেঁষা আমতলা ঘাটে অবশ্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরি করা হয়েছে। অন্য ঘাটেও যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির দাবি জানিয়েছেন নৌকো পরিবহণের লিজ প্রাপ্ত মালিকেরা। অনেক জায়গায় বেসরকারি ভাবেও দু’একজন নৌকো পারপার করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন। সব কিছু খতিয়ে দেখতে শীঘ্রই বিভিন্ন ঘাটে প্রশাসনিক কর্তাদের পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানানো হয় বৈঠকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Boat capsize water
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE