মহিষাদলে শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: আরিউ ইকবাল খান।
রাজ্য সরকার জলমগ্ন এলাকার দুর্গত মানুষের পাশে রয়েছে। জেলা প্রশাসন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও দুর্গতদের পাশে গিয়ে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সোমবার বিকালে মহিষাদলের ইটামগরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিঙ্গুড়মারী নারায়ণ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে এসে এই মন্তব্য করেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানন, ভারী বর্ষণ ও ভরা কোটালের ফলে অনেক এলাকা জলমগ্ন। ঘর বাড়ি ও ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, রোদ উঠতে শুরু করলে আরও ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরবর্তী সময়ে তিন সদস্যের কমিটির তদন্ত রিপোর্টের পর ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়ি তৈরির জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা পাবেন। প্রসঙ্গত, চিঙ্গুড়মারী গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবারের প্রায় ১৫০ জন বাসিন্দা ওই ত্রান শিবিরে রয়েছেন। তাঁদের হাতে শুভেন্দুবাবু খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এ দিন শুভেন্দুবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী, মহিষাদলের বিডিও তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
অন্য দিকে, এ দিন বিকালে ওই ত্রাণ শিবিরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আইওসি হলদিয়া রিফাইনারিও। আইওসি-র হলদিয়া রিফাইনারির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এপি গঙ্গোপাধ্যায় দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। চিঙ্গুরমাড়ীর জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা সাংসদকে কাছে পেয়ে স্থানীয় খাল সংস্কারের দাবি জানান। সাংসদ অবশ্য খাল সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এ বিষয়ে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর কথা বলেছেন।
এ দিন বিকালে শুভেন্দুবাবু হলদিয়া ব্লকের বাশখানা জালপাই গ্রামে হলদি নদীর ভাঙনপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে বেশ কিছুটা এলাকায় হলদি নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অবশ্য সেচ দফতর এ দিন থেকে সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত নদী পাড় সংস্কারের কাজও শুরু করে। অন্য দিকে, এ দিন সকালের দিকে ভারী বৃষ্টি ও ভরা কোটালের কারণে নন্দীগ্রামেও জলমগ্ন এলাকায় নতুন করে জল বেড়েছে। তাছাড়াও মহিষাদলের মায়াচরে কয়েকটি জায়গায় রূপনারায়ণের পাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy