শিল্প-বার্তা: জাঠা থেকে উঠল শালবনিতে কারখানা গড়ার দাবি। নিজস্ব চিত্র
বামেদের জাঠা তখন জিন্দলদের প্রস্তাবিত ইস্পাত প্রকল্প এলাকা থেকে কিছুটা দূরে। প্রস্তাবিত সিমেন্ট কারখানার নির্মীয়মাণ চিমনির দিকে তাকিয়ে জাঠায় সামিল কাশীজোড়ার চুনারাম মুর্মু, শক্তি মুর্মুদের বলতে শোনা গেল, ‘‘আমাদের সরকার এলে এতদিনে ওই চিমনি দিয়ে অনেক ধোঁয়া বেরোত।’’ ইস্পাত প্রকল্প না হওয়ায় শালবনির মানুষের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে, বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে। শুক্রবার বাম গণসংগঠনের জাঠা কর্মসূচিতেও দাবি উঠেছে, ইস্পাত কারখানা গড়ার।
এ দিন সকালে শালবনির মণ্ডলকুপি থেকে বিপিএমও-র জাঠা শুরু হয়। পরে শালবনি, মেদিনীপুর পেরিয়ে সন্ধ্যার মুখে জাঠা পৌঁছয় খড়্গপুর গ্রামীণে। ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা প্রমুখ। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর প্রস্তাবিত ইস্পাত প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছিল শালবনিতে। তবে ইস্পাত কারখানা হয়নি, এখন প্রকল্প এলাকায় সিমেন্ট কারখানা গড়ার কাজ চলছে। এ দিন শালবনিতে দাঁড়িয়ে সূর্যকান্তবাবু বলছিলেন, “কেন কলকারখানা চলে যাচ্ছে? কেন একটাও নতুন কলকারখানা হল না? এখানে জিন্দলদের ইস্পাত প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। জিন্দলরা বিদেশে গিয়ে প্রকল্প করছে।”
এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে সূর্যকান্তবাবুকে বলতে শোনা যায়, “আপনিও তো বলেছিলেন, জিন্দল হবে। আপনার পরিকল্পনা কী, আপনি কী চান বলুন। হবে কি হবে না বলুন। না তো না বলে দিন। আর যদি হবে তো হবে বলুন। কী হবে, কোথায় হবে, বলতে তো হবে আপনাকেই।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের বার্তা, দাবি শুধু এই জাঠার মধ্যে থাকবে না, যে দাবিগুলো আদায় করা যায়, সেগুলো আদায় করতে হবে। সূর্যকান্তবাবুর কথায়, “বুথস্তরে সংগ্রাম কমিটি গড়ে তুলতে হবে। বুথে ঝান্ডা তুলতে না পারলে দাবি আদায় করতে পারবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy