Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বন্ধ সার কারখানার আবাসনে সমীক্ষা বন্দরের

বন্দর সূত্রের খবর, বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই সার কারখানার জমির মালিক হলদিয়া বন্দর। বন্দরেরর জমিতেই সার কারখানা এবং আবাসন গড়ে উঠেছিল।

চলছে সমীক্ষা। নিজস্ব চিত্র

চলছে সমীক্ষা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০২:০৩
Share: Save:

বন্ধ হয়ে গিয়েছে কারখানা। তার পড়ে থাকা আবাসন সামাজ বিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই সব সমস্যার সমাধান হতে চলছে। ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানার প্রায় ২৬৫ একর জমি এবং পরিত্যক্ত আবাসন ফিরে পেতে চলেছে হলদিয়া বন্দর সংস্থা।

বন্দর সূত্রের খবর, বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই সার কারখানার জমির মালিক হলদিয়া বন্দর। বন্দরেরর জমিতেই সার কারখানা এবং আবাসন গড়ে উঠেছিল। দীর্ঘদিন ধরে সার কারখানাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে আবাসনগুলি। এই আবাসনের মধ্যে মাত্র শ’তিনেক ফ্ল্যাটে রয়েছেন সার কারখানার কর্মীরা। এঁদের মধ্যে কেউ স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন। আবার কেউ চাকরির পর আর ফিরে যাননি।

ওই জমিতেই সম্প্রতি সমীক্ষা শুরু করেছে বন্দর সংস্থা। টাউনশিপের সেক্টর ১৩ এর আবাসনগুলির সমীক্ষার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে বন্দর সূত্রে খবর। এক সপ্তাহ ধরে সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব করা হচ্ছে সমীক্ষায়। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া এক আধিকারিক শনিবার বলেন, ‘‘আমরা সেক্টর ১৩ এ সমীক্ষা শেষ করেছি। এবার সমীক্ষা করব সেক্টর ৮ এর।’’

হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) অমল দত্ত বলেন, ‘‘নয়াদিল্লিতে সার ও রসায়ণ মন্ত্রক এবং জাহাজ মন্ত্রকের মধ্যে কথা হয়েছে। এর ফলে হলদিয়া বন্দর ওই জমি ফেরত নেবে। ওই জমিতে থাকা আবাসনগুলিও বন্দর অধিগ্রহণ করবে। সেই আবসনগুলির কী অবস্থায় রয়েছে, তা দেখতে আমাদের সমীক্ষা চলছে।’’ অমলবাবুও জানিয়েছেন, শুধু মাত্র আবাসনের জমি নয়, সার কারখানার হাতে আরও কিছু জমি রয়েছে। সেই জমিও বন্দর নেবে। জমি হস্তান্তরের সময় কত টাকা বন্দর পাবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট দু’টি মন্ত্রক।

বন্ধ হয়ে যাওয়া সার কারখানার জেনারেল ম্যানেজার শুভেন্দু গোস্বামী বলেন, ‘‘আমরা বন্দর সংস্থাকে কারখানার মধ্যে থাকা ১৬৫ একর এবং আবাসনের মধ্যে থাকা মাঠ, বিনোদন পার্ক-সহ ৬৫ একর জমির হস্তান্তর করতে চেয়েছি। সেই নিরিখে ওই সমীক্ষার কাজ চলছে।’’

এ দিকে, জমি হস্তান্তর নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আবাসনের একাংশ বাসিন্দারা। এ দিন সেক্টর ১৩ ওয়েলফেয়ার কমিটির সম্পাদক দিলীপ কুলভি বলে, “সেক্টর ১৩ এবং ৮ মিলিয়ে তিনশোরও বেশি পরিবার রয়েছি। বন্দর সংস্থার কাছে আমরা লিখিত আবেদন করেছি। বন্দর আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, বর্তমান আবাসনেই আমাদের রাখা হবে।’’ এ ব্যাপারে হলদিয়া বন্দরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই আবাসনের এখনও বেশ কিছু আবাসিক রয়েছেন। আমরা আবাসন অধিগ্রহণ করলে, তাঁদের দায়িত্বও নেব। শুধু আবাসন নেওয়া নয় তার সাথে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দায়িত্বও নেবে বন্দর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Survey
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE