সাত মাস ধরে বেতন মিলছে না। চরম সমস্যায় পড়েছেন মেদিনীপুর হোমের ‘বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন’ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা। হোমের সুপার সুস্থিতি তিওয়ারি বলছেন, ‘‘টাকা আসেনি। তাই শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়া যায়নি।’’
মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা হোম চত্বরেই রয়েছে এই বিদ্যালয়। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় এখানে। এখন ছাত্রী রয়েছে ১৪৪ জন। এই স্কুল থেকে আগামী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে ১৭ জন ছাত্রী। মাধ্যমিকে ফল যাতে ভাল হয় সে জন্য ছাত্রীদের বিশেষ কোচিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সকালে হোমে এসে পড়াতেন ন’জন শিক্ষিকা। এই শিক্ষিকারাই এখন হোমের স্কুলেরও ভরসা। কারণ, স্থায়ী শিক্ষিকা বলতে আছেন শুধু প্রধান শিক্ষিকা। বাকিরা অবসর নিয়েছেন। তাই বিশেষ কোচিংয়ের জন্য নিয়োগ করা শিক্ষিকারাই স্কুলেও নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। প্রধান শিক্ষিকা ভারতী কুণ্ডু মান্নাও মানছেন, ‘‘কোচিংয়ের শিক্ষিকারাই এখন ভরসা।’’
তবে সাত মাস ধরে এই শিক্ষিকারাই বেতন পাচ্ছেন না। শেষ বেতন মিলেছিল গত মার্চে। এক শিক্ষিকা রৌশেনারা বেগম বলেন, ‘‘প্রায় কুড়ি বছর ধরে এখানে পড়াচ্ছি। এখন মাস গেলে পাই মাত্র ৩,৩০০ টাকা। ভেবেছিলাম পুজোর সময় বোনাস ও বকেয়া টাকা পাব। কিন্তু কোথায় কী!’’ আর এক শিক্ষিকা সুচিত্রা জানারও বক্তব্য, ‘‘বর্তমানে সব ক্লাসের ছাত্রীদেরই পড়াতে হয়। তাতেও যৎসামান্য বেতন। সেই টাকাও সাত মাস ধরে পাচ্ছি না। ধার করে সংসার চালাতে হচ্ছে।’’ শিক্ষিকা ঝর্না চৌধুরী, জয়িতা দাস, সুতন্দ্রা চক্রবর্তী সকলেই সমস্যায় পড়েছেন।
প্রধান শিক্ষিকা ভারতীদেবী বলেন, ‘‘হোম সুপারের কাছে বকেয়া টাকার জন্য বহুবার আবেদন করেও সদুত্তর মেলেনি। বিকাশ ভবনে গিয়ে বকেয়া টাকার জন্য আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই টাকা পাওয়া যাবে।’’ হোম সুপার সুস্থিতিদেবীর বক্তব্য, ‘‘টাকা এলেই শিক্ষিকাদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy