Advertisement
E-Paper

বেহাল পথেই কুরুমবেরা দুর্গে যাত্রা

দুর্গের পরতে পরতে ইতিহাসের হাতছানি। ঐতিহ্যের টানে বহু পর্যটক ভিড়ও জমান কেশিয়াড়ির গগনেশ্বরের কুরুমবেরা দুর্গে। যদিও ব্লকের কুকাই থেকে দুর্গে যাওয়ার চার কিলোমিটার রাস্তায় এখনও পিচের প্রলেপ পড়েনি।

দেবমাল্য বাগচী

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০০:৫৬
যন্ত্রণা: এবড়ো-খেবড়ো এই মোরাম রাস্তা পেরিয়েই পৌঁছতে হয় কেশিয়াড়ির গগনেশ্বরের কুরুমবেরা। নিজস্ব চিত্র

যন্ত্রণা: এবড়ো-খেবড়ো এই মোরাম রাস্তা পেরিয়েই পৌঁছতে হয় কেশিয়াড়ির গগনেশ্বরের কুরুমবেরা। নিজস্ব চিত্র

দুর্গের পরতে পরতে ইতিহাসের হাতছানি। ঐতিহ্যের টানে বহু পর্যটক ভিড়ও জমান কেশিয়াড়ির গগনেশ্বরের কুরুমবেরা দুর্গে। যদিও ব্লকের কুকাই থেকে দুর্গে যাওয়ার চার কিলোমিটার রাস্তায় এখনও পিচের প্রলেপ পড়েনি। নখ-দাঁত বেরিয়ে গিয়েছে মোরাম রাস্তারও।

কুরুমবেরা দুর্গের নির্মাণ নিয়ে বহু মত প্রচলিত। ইংরেজরা জেলার গেজেটিয়ার রচনার সময়ও এটিকে দুর্গ বলেই উল্লেখ করেছেন। ওড়িশি স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত আয়তাকার এই সৌধটির চার দিকেই প্রায় আট ফুট প্রশস্ত খোলা বারান্দা। এবড়ো-খেবড়ো ঝামা পাথরের উপর চুন-বালির পলেস্তারা। ১৪৩৮-১৪৭০ সালের মধ্যে ওড়িশার রাজা কপিলেন্দ্র দেবের আমলে নির্মিত হয় এই দুর্গ।

২০১১ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ দুর্গ সংরক্ষণের কাজে এগিয়ে আসে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পর্যটকদের ভিড়ও। এই দুর্গে পৌঁছতে হলে কেশিয়াড়ি-বেলদা রুটের বাসে উঠে কুকাই নামতে হবে। কুকাই থেকে পশ্চিমে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে গগনেশ্বরে রয়েছে এই দুর্গ। অধিকাংশ পর্যটক কুকাই থেকে এই দুর্গে যাতায়াত করেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকায় এই চার কিলোমিটার রাস্তা পিচ করার পরিকল্পনা হয়। যদিও কাজ হয়নি কিছুই।

সদ্য কুকাই থেকে গগনেশ্বর রুটে টোটোও চালু হয়েছে। যদিও জীর্ণ পথে যেতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন টোটো চালকেরা। টোটো চালক দীপক সিংহ বলেন, “দীর্ঘদিন রাস্তা বেহাল। কবে রাস্তা সংস্কার হবে জানিনা। যাত্রী নিয়ে আতঙ্কে ওই পথেই যেতে হচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা হতে পারে।”

যদিও রাস্তা সংস্কারে প্রশাসনের বিশেষ হেলদোল নেই। কেশিয়াড়ির বিডিও গৌতম সান্যাল বলেন, “ওই রাস্তা পিচ করার বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা নেই। ওই রাস্তা পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে নয় বলে মনে হয়।” কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অশোক রাউত বলছেন, “সত্যিই ওই রাস্তা পিচের হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তা তৈরি জন্য বহুবার বলা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়!”

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “বাম আমলে এই রাস্তার মতো জেলার বহু সড়ক প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরি হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। যদিও আদতে তা হয়নি। এ বছর জেলায় ৫৩টি রাস্তা সংস্কার হবে। ওই রাস্তাটিও পিচ করা হবে।”

Kurumbera Fort Road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy