দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তা অবরোধ।
নারায়ণগড়ের হাঁদলা রাজবাড়ি থেকে শুক্রবার রাতেই অষ্টধাতু ও পিতলের মোট ১০টি মূর্তি ও তিনটি শালগ্রাম শিলা চুরি হয়ে গিয়েছিল। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দরজার তালা ভেঙে শীতলা মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটল খড়ারে।
শনিবার রাতে ঘাটাল থানার খড়ার শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডল পাড়ার প্রাচীন ওই মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে মন্দিরের দরজা খুলতেই বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত ও দোষীদেরহ ধরার দাবিতে এ দিন দুপুরে বরদাচৌকান-ইড়পালা রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
গত রবিবারই চন্দ্রকোনা পুরসভার যদুপুরে একটি শীতলা মন্দির থেকে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না চুরি যায়। দিন কয়েক আগে দাসপুরের পলাশপাই ও কলাইকুণ্ডু গ্রামের কালী ও শীতলা মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। ঘাটাল মহকুমা জুড়ে চুরির ঘটনা বাড়তে থাকায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার দাবি, “সবকটি মন্দিরেই তালা কেটেই চুরির ঘটনা ঘটছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, একটি চক্রই এই কাজ করছে। ওই চক্রটির সন্ধানে তল্লাশি শুরু চলছে। পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে প্রাচীন মন্দিরের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের ভিতরে প্রণামী বাক্স ও আলমারি থেকে দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েক ভরি সোনা-রুপোর গয়না নিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। মন্দির থেকে প্রায় চারশো মিটার দূরে দুষ্কৃতীরা আলমারিটি ফেলে রেখে পালায়। আর মন্দির থেকে কিছুটা দূরে শহরের টুবটুবি পুকুরের পাড়ে প্রণামী বাক্স পড়ে থাকতে দেখা যায়। আলমারি ও প্রণামী বাক্স-দু’টিরই তালা ভাঙা ছিল।
দাবি, প্রণামী বাক্সে কয়েক হাজার টাকা ছিল। আর আলমারিতে ভক্তদের দান করা কাপড় ও কয়েক ভরি সোনা-রুপো র গয়না ছিল। প্রতিদিন সকালে প্রণামী বাক্স বাইরে বের করে দেওয়া হয়। দুষ্কৃতীরা টাকা, গয়না নিয়ে প্রণামী বাক্স ও আলমারি ফেলে রেখে পালায় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খড়ার ফাঁড়ির পুলিশ। পরে ঘাটাল থানার পুলিশও এলাকায় যায়। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ঘটনার অভিয়োগ দায়ের হয়েছে। মন্দির কমিটির পক্ষে লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডলের অভিযোগ, “শুধু মন্দিরই নয়, খড়ার শহরে এখন দিন-দুপুরে বাড়িতেও চুরির ঘটনা ঘটছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘মন্দির থেকে শুধু গহনা খোওয়া গিয়েছে তাই নয়, মায়ের আলমারি ও প্রণামী বাক্সও তুলে নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। শহরেই পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও কিছু টেরও পেল না।”
দলবদল। তৃণমূলের সভা ও মিছিল হল শালবনিতে। রবিবার বিকেলে ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ প্রস্তুতি হিসেবে শালবনিতে এই আয়োজন করা হয়েছিল। সভায় সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, লোকাল কমিটির সদস্য-সহ শতাধিক কর্মী এ দিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। দলত্যাগীদের হাতে তৃণমূলের পতাকাও তুলে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy