Advertisement
E-Paper

মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো টিনে ছাদ পেল ছাত্রাবাস

তখন তিনি রথিপুর বরদা বাণীপীঠের ছাত্রাবাসের ছাউনির টিনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রীকে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৫৩
স্কুলের ছাত্রাবাসের একাংশ। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের ছাত্রাবাসের একাংশ। —নিজস্ব চিত্র।

১৯৬৫ সাল। তখন বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘাটালের কুঠিবাজারে সভা করতে আসবেন শুনে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক বংশীধারী মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন গগনচন্দ্র। সভা শেষে প্রফুল্লবাবু তাঁর সঙ্গে একান্তে দেখা করেন। তখন তিনি রথিপুর বরদা বাণীপীঠের ছাত্রাবাসের ছাউনির টিনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

কথা শুনেছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র। স্কুলে ছাত্রাবাস জন্য ৭২ বান্ডিল টিন পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই টিন দিয়েই রথিপুর বরদা বাণীপীঠ স্কুলের ছাত্রাবাসের ছাদ তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ে দূর থেকে অনেক পড়ুয়া ও শিক্ষক আসতেন। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল ছিল না। তাই ছাত্র ও শিক্ষকদের অনেকেই সময়ে বাড়ি ফিরতে পারতেন না। অনেকে গগনচন্দ্রবাবুর বাড়িতেই থেকে যেতেন। সবার চেষ্টাতেই ছাত্রাবাসের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাটির দেওয়াল উঠে গেলেও টিনের অভাবে ঘর ছাওয়া যাচ্ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর টিন পাঠানোয় কাজ হয়।

এই স্কুলের ভবনের মতোই এর ছাত্রাবাসও ইতিহাসের সাক্ষী। বর্তমানে স্কুলের পাশেই সেই মাটির বাড়িটির একাংশ দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে সেটি এখন বসবাসের উপযোগী নেই। মাটির সেই ঘর সংস্কারের জন্য পদক্ষেপও করা হয়নি। ষাটের দশকে তৈরি হওয়া ছাত্রাবাস এখন নষ্ট হতে বসেছে। পরবর্তী সময়ে পুরনো হস্টেলের পাশে নতুন দু’টি কংক্রিটের ঘর তৈরি হয়েছিল। সেগুলির মাথাতেও টিনের চাল। তবে সেই ঘরও সঠিক ভাবে দেখভাল হয় না। স্থান সংকুলানের সমস্যাও রয়েছে। যদিও এই স্কুলে ছাত্রাবাসের চাহিদা এখনও রয়েছে।

স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্জি, মাটির ঘর দু’টি সংস্কার করে নতুন ছাত্রাবাস তৈরি করা হোক।

Prafulla Chandra Sen প্রফুল্ল চন্দ্র সেন Chief minister মুখ্যমন্ত্রী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy