স্নান যাত্রার পর আত্মপ্রকাশ। মেদিনীপুরের জগন্নাথ মন্দিরে। সামনেই তৈরি হয়েছে অস্থায়ী মাসির বাড়ি (বাঁ দিকে), খড়্গপুরের জগন্নাথ মন্দিরের রথ এ বার থাকবে মন্দির চত্বরেই। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল ও কিংশুক আইচ
গত বছরের মতো এ বারও করোনার কোপে রথযাত্রা। রথে জাঁক নেই গড়বেতাতেও। রথ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবে না, বসছে না মেলাও। মায়তার প্রাচীন রথযাত্রা এ বারও হচ্ছে না।
রথের দিন বগড়ি কৃষ্ণনগরের শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকাকে রথে চাপিয়ে মায়তার মন্দিরে নিয়ে আসার রেওয়াজ বহু পুরনো। করোনার জন্য গতবছরের মতো এ বারও ছেদ পড়ছে সেই রথযাত্রায়। উদ্যোক্তাদের পক্ষে আলোকময় রায় বলেন, "এ বার কৃষ্ণনগর মন্দির থেকে পালকিতে করে ঠাকুর আনা হবে মায়তায়। সেখানে রথে চাপিয়ে আরতি করা হবে। তারপর হাত সাতেক রথ টানা হবে। তারপর ফের ঠাকুরকে পালকিতে চড়িয়ে মায়তার মন্দিরে আনা হবে।" মায়তার এই রথযাত্রা দেখতে প্রচুর ভক্ত ভিড় জমান। তাই এ বার কোনও প্রচার করেননি উদ্যোক্তারা। বসছে না মেলাও। রীতি মেনে শুধু পূজার্চনাই হবে বলে জানা গিয়েছে।
ধাদিকার লালপুরের রথযাত্রাও এ বার স্থগিত রাখা হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য রথযাত্রা হচ্ছে না। শুধু রীতি মেনে মন্দিরে পুজো হবে। প্রতিবছর এখানে লালপুর থেকে আমলাগোড়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পথে রথযাত্রা হত। রাস্তার দু'ধারে কাতারে কাতারে ভক্ত ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতেন। পরপর দু’বছর রথযাত্রা না হওয়ায় হতাশ ভক্তেরা। গোয়ালতোড়ের হুমগড়ের চাঁদাবিলা এলাকায় এ বার করোনা বিধি মেনে রথযাত্রা মহোৎসব হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার রথের দিন বিকেলে এখানে জগন্নাথদেবের মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হওয়ার কথা। এই উপলক্ষ্যে সবধরনের করোনা বিধি মেনে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে রথযাত্রা উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক তুষারকান্তি পন্ডা জানিয়েছেন। রথযাত্রার জাঁকজমক নেই চন্দ্রকোনা রোড এলাকাতেও। এখানে কয়েকটি সংস্থা রথযাত্রার আয়োজন করে আড়ম্বরপূর্ণভাবেই। তবে গত বছরের মতো এ বারও রথযাত্রা কাটছাঁট করে প্রথামতো জগন্নাথদেবের পূজার্চনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy