রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোন শিল্প সংস্থায় অবরোধ না করার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ সেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাই বেহাল নিকাশি খাল, রাস্তা মেরামতি ও পর্যাপ্ত আলোর দাবিতে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ নম্বর প্রবেশপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। তিন ঘণ্টা ধরে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে তিন ঘণ্টা ধরে প্রায় ৫০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক প্রবেশপথের রাস্তা অবরোধ করে রাখে বলে অভিযোগ। অবরোধের জেরে তাপবিদ্যুতের বর্জ্য ছাই বোঝাই লরি যাতায়াত করতে পারেনি বলে অভিযোগ। পরে কোলাঘাট থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে আলোচনার আশ্বাস দিলে ওই অবরোধ ওঠে। এ দিন অবরোধের ফলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে দাবি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার তাপস পাত্র বলেন, ‘‘অবরোধের জেরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বা কাজে ব্যাঘাত ঘটেনি।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেচেদা বাজারে যাতায়াতের প্রধান রাস্তায় প্রায় ১০ বছর মোরাম দেওয়া হলেও সংস্কার করা হয়নি। নিকাশিরও সংস্কার হয়নি। ফলে রাস্তা ও নিকাশি খাল উভয় বেহাল হয়ে রয়েছে। এই দু’টি সংস্কারের দাবিতেই বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ নম্বর গেটের সড়ক পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। অবরোধে নেতৃত্ব দেন আমলহান্ডা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দিবাকর সাঁতরা, আমলহান্ডা গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জহর গুড়িয়া, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সমীরণ সামন্ত প্রমুখ। ফলে বর্জ্য ছাই বহনকারী গাড়ি আটকে পড়ে। তবে ছাই বহনকারী ঠিকাদার সংস্থার কর্তা ইউনিস আলির দাবি, বলেন, ‘‘গেট কিছু সময়ের বন্ধ ছিল। পরে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।’’
তৃণমূল নেতা দিবাকর সাঁতরার কথায়, ‘‘রাস্তা-খাল সংস্কার হয়নি। তার প্রতিবাদেই এ দিনের কর্মসূচি।’’ দলীয় সমর্থকদের এই কর্মসূচিকে সমর্থন করে কোলাঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘খাল সংস্কার, পাকা রাস্তা তৈরির জন্য এলাকার বাসিন্দারা ২০ বছর ধরে দাবি জানাচ্ছেন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কতৃপক্ষ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেনি। তাই এমন অবরোধ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy