Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নির্দলরা জিতলেও তৃণমূলে ঠাঁই নয়, ঘোষণা শুভেন্দুর

দলের বিক্ষুব্ধ যে সব নেতা-কর্মীরা নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁদের আগেই বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এ বার দলের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী আরও এক ধাপ এগিয়ে জানিয়ে দিলেন, যদি এই নির্দলদের মধ্যে থেকে কেউ ভোটে জিতেও যান, তবু তাঁকে তৃণমূলে ফেরানো হবে না। তমলুকের সাংসদের কথায়, ‘‘যাঁরা দলের পদে থেকে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ধরনের কোনও লোক যদি জিতে আসে, আমি যতদিন সাংসদ থাকব, তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসে ঢুকতে দেব না। তার জন্য যত দূর যেতে হয় যাব।’’

অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।

অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৩২
Share: Save:

দলের বিক্ষুব্ধ যে সব নেতা-কর্মীরা নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁদের আগেই বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এ বার দলের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী আরও এক ধাপ এগিয়ে জানিয়ে দিলেন, যদি এই নির্দলদের মধ্যে থেকে কেউ ভোটে জিতেও যান, তবু তাঁকে তৃণমূলে ফেরানো হবে না। তমলুকের সাংসদের কথায়, ‘‘যাঁরা দলের পদে থেকে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ধরনের কোনও লোক যদি জিতে আসে, আমি যতদিন সাংসদ থাকব, তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসে ঢুকতে দেব না। তার জন্য যত দূর যেতে হয় যাব।’’

দু’দিন আগেই তমলুক পুরসভার এক বিদায়ী কাউন্সিলর-সহ তিন নেতাকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। রবিবার সন্ধ্যায় তমলুকের শহরের শালগেছিয়ায় সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে পুরসভার স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের নিয়ে এক নির্বাচনী সভায় সাংসদ বলেন, ‘‘তমলুক পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ২০টি ওয়ার্ডে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিয়ে লড়াই করছে। বামফ্রন্ট, বিজেপি, কংগ্রেস সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেনি। তবে কোথাও নির্দল, কোথাও আবার গোঁজ প্রার্থী রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও স্থানীয়স্তরে কোনও ব্যক্তি বিরোধিতা করার জন্য প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা তমলুক পুরসভায় পুরবোর্ডকে ত্রিশঙ্কু করার জন্য চেষ্টা করছে।’’

শুভেন্দুবাবুর আরও দাবি, ‘‘বিরোধী দলগুলি বলতে পারবে না তারা পুরবোর্ড গড়বে। আমরা একমাত্র দ্বায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, আমাদের ২০টি ওয়ার্ডেই জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এককভাবে পুরবোর্ড গঠন করতে পারব।’’ এরপরেই শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘এখানে কেউ কেউ ছদ্মবেশ নিয়েছেন। বলছেন, ‘আমি নির্দল। পরবর্তীকালে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাব। বলছেন আমি অমুক নেতার অনুগামী, আমি অমুক নেত্রীর অনুগামী। এ সব বলে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে।’’

সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূল পুরবোর্ড গঠনের চেষ্টা করতে হবে বলেও এ দিন জানান শুভেন্দুবাবু। তাঁর মতে, ‘‘রাজ্য সরকারে তৃণমূল আছে। এই এলাকার সাংসদ, বিধায়ক তৃণমূলের। সবাই মিলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে সুবিধা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE