নানুর দিবসে বাঙালি আবেগে শান দিল তৃণমূল।
বরাবরই নানুর দিবসে তৃণমূল দলের ‘শহিদ’ কর্মীদের শ্রদ্ধা জানায়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে এ বার তার সঙ্গে ভিন্ রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিকে জুড়ল শাসক দল। রবিবার গড়বেতার তিনটি ব্লকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানুরে দলের 'শহিদ' কর্মীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেইসঙ্গে বাংলা ও বাঙালির অপমানের প্রতিবাদে মিছিলও হয় বিভিন্ন এলাকায়।
বাঙালি আবেগকে সামনে রেখেই যে আগামী বিধানসভা ভোটে লড়বে তৃণমূল তা মোটের উপর স্পষ্ট হয়েছে ইতিমধ্যেই। ভিন্ রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে সম্প্রতি একাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক দিয়েছেন ভাষা আন্দোলনের। স্বাভাবিক ভাবে যে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে বাঙালি আবেগের বিষয়টিকে জুড়তে মরিয়া তারা। নানুর দিবসও তার ব্যতিক্রম হল না।
এ দিন গড়বেতা ১ ব্লকে তৃণমূলের উদ্যোগে ১২ টি অঞ্চলেই নানুর দিবস পালন করা হয়। সেইসঙ্গে বাংলা ও বাঙালির অপমানের প্রতিবাদে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মিছিল, পথসভাও হয়। শ্যামনগর ও ধাদিকা অঞ্চলে 'শহিদ'দের স্মরণ করেন বিধায়ক উত্তরা সিংহ। তিনি বাংলার মনীষীদের ছবি নিয়ে প্রতিবাদী মিছিলেও শামিল হন। সন্ধিপুরে প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ। তিনি পথসভায় বক্তৃতা করেন। গড়বেতা শহরে প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অসীম ওঝা প্রমুখ। গড়বেতা ২ ব্লকের তৃণমূলের দুই সাংগঠনিক ব্লকেও নানুর দিবস পালন করা হয় এ দিন। গোয়ালতোড়ে বাংলা ও বাঙালির অপমানের প্রতিবাদে মিছিল করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন গড়বেতা ২ (এ) সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি সুধাংশুশেখর মণ্ডল। চন্দ্রকোনা রোডেও তৃণমূলের উদ্যোগে নানুর দিবস পালন করা হয়। এখানেও বাঙালির অপমানের প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল কর্মীরা।
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও নানুর দিবস পালন করার পাশাপাশি রাজ্য ব্যাপী ভাষা আন্দোলন শুরু করার কথা জানিয়ে দলের তরফে 'জরুরি বিজ্ঞপ্তি' জারি দিয়েছিলেন। ২০০০ সালের ২৭ জুলাই নানুরের সূচপুরে একটি ঘটনায় ১১ জন নিহত হন। নিহতরা প্রত্যেকে দলের কর্মী বলে জানায় তৃণমূল। তার পর থেকে প্রতিবছর এই দিন নিহতদের 'শহিদ' আখ্যা দিয়ে নানুর দিবস পালন করে তৃণমূল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)