গুলি চালানোর সেই দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে বন্দুক নিয়ে হামলা পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর টাউন থানা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্কুটি নিয়ে চম্পট দিল আততায়ীরা। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আহত ওই কর্মীর নাম বি সন্তোষ। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরে টাউন থানার অন্তর্গত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকার তৃণমূলের কার্যালয়ে সামনে কয়েক জন বসে ছিলেন। কার্যালয়ের বাইরে একটি গাছের তলায় বসেছিলেন কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। সিসিটিভি থেকে পাওয়া ফুটেজ় এবং আহত তৃণমূল কর্মীর বয়ান অনুযায়ী, গাছের তলায় কয়েক জন যখন বসে ছিলেন তখনই একটা স্কুটিতে করে তিন যুবক আসেন। তাঁদের মুখ ঢাকা ছিল। তাঁদের দেখেই ছুটে পালান গাছের তলায় বসে থাকা তৃণমূল কর্মীরা। স্কুটি থেকে নামা এক জনের হাতে বন্দুক রয়েছে দেখতে পেয়ে কয়েক জন তাঁদের দিকে চেয়ার ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পাল্টা ধেয়ে আসে গুলি। চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চলে অভিযোগ। একটি গুলি এসে লাগে তৃণমূল কর্মী সন্তোষের গায়ে।
আহত ওই তৃণমূল কর্মীর ডান পায়ের হাঁটুতে সমস্যা রয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাই তিনি দৌড়ে পালাতে সক্ষম হননি। একটি গুলি লাগে তাঁর কোমরের নীচে।
তিন আততায়ীর মুখ ঢাকা থাকায় তাঁদের চেনা যায়নি বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। তারা গুলি চালিয়ে ওই স্থান থেকে পালিয়ে যায়। অন্য দিকে, জখম তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
প্রথমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সন্তোষকে। কিন্তু, শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সন্তোষকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। জখম ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এই হামলা, আততায়ী কারা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। একটি খালি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই স্কুটি এবং দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণও করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy