E-Paper

সপ্তাহান্তে ভিড় সৈকতের নয়া মন্দিরে

এছাড়া, গত ২৩ মার্চ থেকে চৈতন্যদ্বার নির্মাণ কাজ চলায় ফোরশোর রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। ঘুরপথে যেতে অসুবিধার মুখে পড়েছিলেন বহু পর্যটক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৫ ০৮:৪৭
শনিবার জগন্নাথ মন্দিরে পর্যটকেরা।

শনিবার জগন্নাথ মন্দিরে পর্যটকেরা। নিজস্ব চিত্র।

সমুদ্র স্নান রয়েছেই। বাড়তি পাওনা সদ্য উদ্বোধন হওয়া জগন্নাথ মন্দির। ফলে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহান্তে পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছে সৈকতের পাশাপাশি, জগন্নাথ মন্দিরেও।

গত ৩০ এপ্রিল দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ২৯ এপ্রিল মন্দিরে মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় কার্যত ফাঁকা ছিল দিঘা। ওল্ড এবং নিউ দিঘা মিলিয়ে প্রায় সব হোটেল ছিল ‘পর্যটক-শূন্য’। হোটেল মালিকদের বক্তব্য ছিল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় প্রশাসনিক কঠোর নিয়ম-কানুনের জন্য হয়রানির আশঙ্কায় সে সময় পর্যটকেরা দিঘা এড়িয়ে যান।

এছাড়া, গত ২৩ মার্চ থেকে চৈতন্যদ্বার নির্মাণ কাজ চলায় ফোরশোর রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। ঘুরপথে যেতে অসুবিধার মুখে পড়েছিলেন বহু পর্যটক। সেই সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। সঙ্গে জুড়েছে স্কুল-কলেজের গ্রীষ্মকালীন ছুটি। তাই উদ্বোধনের কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই শনিবার ফের ভিড়ের পুরনো ছবি দেখা গেল দিঘায়।

এ দিন সকালে হাওড়া থেকে আসা এক্সপ্রেস এবং একাধিক লোকাল ট্রেনে কয়েক হাজার পর্যটক দিঘায় পৌঁছেছেন। বাস আর ব্যক্তিগত গাড়িতেও এসেছেন অনেকে। ওল্ড দিঘায় প্রায় সব হোটেলেই ভর্তি। থিকথিকে ভিড় নিউ দিঘাতেও। সকালে ১১টা নাগাদ সপরিবারে সমুদ্র স্নান সেরে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ঘাটালের অনন্ত সাঁতরা। তিনি বলেন," ‘‘দিঘার মন্দির অনেক সুন্দর হয়েছে বলে শুনেছিলাম। ছেলে-মেয়ের স্কুল ছুটি পড়তেই চলে এসেছি। আগে সমুদ্রস্নান হল। পরে প্রভুর দর্শন করলাম।’’ ওল্ড এবং নিউ দিঘায় যে দুটো নতুন ঘাট তৈরি করা হয়েছে সেখানেও পর্যটকদের প্রচুর ভিড় ছিল। জোয়ারের সময় যাতে পর্যটকরা বেশি দূর পর্যন্ত সমুদ্রে না নামেন, সে জন্য নুলিয়ারা বারবার সতর্ক করছিলেন।

সমুদ্রের পাশাপাশি, একই রকম ভিড়ের ছবি দেখা গিয়েছে মন্দিরেও। সকালে রোদ উপেক্ষা করে জগন্নাথ দর্শন করেন শয়ে শয়ে পূণ্যার্থী। বিকেলের পর ওই ভিড় আরও বেড়েছে। মন্দিরের ৬ নম্বর গেটের বিপরীতে ভোগ প্রসাদের দোকান খোলা হয়েছে। বালিগঞ্জ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে ব্যবসায়ীরা সেই সব প্রসাদের দোকান চালাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, ‘‘উদ্বোধনের দিন থেকে কম বেশি প্যাড়া এবং খাজা বিক্রি হচ্ছে। তবে শনিবার সেই বিক্রির পরিমাণ ১০ হাজার টাকার গন্ডি ছাড়িয়েছে।’’

উদ্বোধনের কয়েকদিন পরের সপ্তাহান্তের ভিড়ে খুশি হোটেল মালিকরাও। দিঘা- শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওল্ড এবং নিউ দিঘায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আর কোনও অসুবিধে হচ্ছে না। এ দিন তাই পর্যটকেরা দিব্যি সমুদ্র স্নান এবং মন্দির দর্শন করছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

digha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy