E-Paper

১৫ অগস্টের ছুটিতে আগাম বুকিং, হোটেলে ঘর পেতে কাড়াকাড়ি

আগামী শুক্রবার দেশের স্বাধীনতা দিবস। তার পরেই পড়েছে শনি-রবি। ফলে টানা ছুটিতে সপরিবারে দিঘা ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা অবিনাশ কুমার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ০৯:৫১
দিঘার জগন্নাথ মন্দির।

দিঘার জগন্নাথ মন্দির। —ফাইল চিত্র।

জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা। ছুটি পেলেই নতুন এই পর্যটন কেন্দ্রে ঢুঁ মারছেন অনেকে। কিন্তু, এ বার স্বাধীনতা দিবসের টানা ছুটিতে সৈকত শহরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেই হোঁচট খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ফোনে হোটেল বুক করতে গেলেই শুনতে হচ্ছে, ‘কোনও ঘর খালি নেই’।

আগামী শুক্রবার দেশের স্বাধীনতা দিবস। তার পরেই পড়েছে শনি-রবি। ফলে টানা ছুটিতে সপরিবারে দিঘা ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা অবিনাশ কুমার। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেমেয়ের পরীক্ষা শেষ। ভেবেছিলাম সকলকে নিয়ে ছুটি কাটাবো আর জগন্নাথ মন্দির ঘুরে আসব। কিন্তু, দিঘা বা মন্দারমণি কোথাও পছন্দের হোটেল খুঁজে পেলাম না।’’ ওল্ড দিঘার সৈকতাবাসের এক কর্মী বলেন, ‘‘সারাদিনে অন্তত ১৫-২০জন ফোন করে ঘরের খোঁজ করছেন। স্বাধীনতা দিবসের টানা ছুটিতে কোনও ঘর খালি নেই।’’

সূত্রের খবর, ফোরশোর রাস্তা, হোটেল সেক্টরের প্রায় সব হোটেলেই আগাম বুক হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ওয়েবসাইটে যেসব হোটেল খোঁজা যায়, সেখানে জুন থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ ও ১৬ অগস্ট ঘর ফাঁকা নেই। ফোন করেও ঘর মিলছে না। যদিও, শিবালয় রোড এবং এন টু সেক্টরের কিছু হোটেল মালিক জানাচ্ছেন, যাঁরা আগে আসবেন তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে ঘর দেওয়া হবে। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘৮০ শতাংশ ঘর আগাম বুক হয়ে গিয়েছে। যেসব হোটেলে ‘স্পট’ বুকিং হয়, সেখানে ১৫ এবং ১৬ অগস্ট কিছু ঘর ফাঁকা আছে। আশা করি স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে রেকর্ড ভিড়ের সাক্ষী থাকবে দিঘা।’’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঈদের ছুটিতে ভিড়ের কারণে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হোটেল মালিকদের একাংশের বিরুদ্ধে। সমাজমাধ্যমে দিঘাকে বয়কটেরও দাবি উঠেছিল। তবে জেলা প্রশাসন এবং হোটেল মালিকদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। হোটেল মালিকরা ভাড়ার তালিকা তাঁদের সংগঠনের বইয়ে প্রকাশ করেছেন। এই ছুটিতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে নজরদারি চলবে বলে, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর।

একই ছবি, মন্দারমণিতেও। সেখানে প্রায় ২৫০ বেশি হোটেল এবং লজ রয়েছে। মালিকদের দাবি, যার অধিকাংশই আগাম বুক হয়ে গিয়েছে। হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি মমরেজ আলি বলেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবসের ছুটি উপলক্ষে দু’মাস আগে থেকে হোটেল বুকিং শুরু হয়েছিল। এখন যা পরিস্থিতি কোথাও ঘর ফাঁকা নেই বললেই চলে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

digha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy