আদালতে দুই অভিযুক্ত।
এক আদিবাসী বৃদ্ধাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকায়। সোমবার গণেশ পুজোর রাতে ছেলেকে খুঁজতে বেরিয়ে বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধা নির্যাতিতা হন বলে অভিযোগ। রাতেই অভিযুক্ত দুই যুবক কমল মুদি ও শম্ভু হাঁসদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শম্ভুর বয়স ১৯, কমলের বয়স ২৩। মঙ্গলবার ধৃতদের মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক দু’জনকেই পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়্গপুরের মথুরাকাটি এলাকায় রেলের ঠিকাদারের অধীনে সাফাইকর্মীর কাজ করেন ওই বৃদ্ধা। স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি ওই কাজ পেয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামের গণেশ পুজোয় গিয়েছিলেন তাঁর বছর কুড়ির ছেলে। রাত পর্যন্ত ছেলে না ফেরায় বৃদ্ধা তাঁকে খুঁজতে যান। পথে তাঁর দেখা হয় শম্ভু ও কমলের সঙ্গে। তারা ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই বৃদ্ধাকে গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। রাতেই ওই বৃদ্ধা সাদাতপুর ফাঁড়িতে গিয়ে ওই দুই যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। বৃদ্ধার কথায়, “ওরা জঘন্য কাজ করেছে। আমি ওদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।”
এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। ধৃতেরা এলাকায় তৃণমূল সর্মথক হিসেবে পরিচিত হওয়ায় সরব হয়েছে বামেরা। এআইটিইউসি-র জেলা সম্পাদক বিপ্লব ভট্ট বলেন, “ছেলের বয়সী যুবকদের হাতে এক অসহায় বৃদ্ধার সম্ভ্রমহানি লজ্জাজনক। বাংলার সংস্কৃতি কোথায় পৌঁছচ্ছে তা এ বার ভাবতে হবে।”
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ধৃতদের দলের কর্মী বলে মানতে নারাজ। খড়্গপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, স্থানীয় তৃণমূল নেতা শক্তি মণ্ডল বলেন, “গণেশ পুজোয় মাইক বাজছিল। সেখানে আদিবাসী বৃদ্ধাকে নিয়ে ওই যুবকেরা নাচছিল। তা নিয়ে একটা অশান্তি হয়েছে। ধর্ষণের কথা আমার জানা নেই। আর ওই যুবকদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy