থেকেও-নেই: বেলদার রাস্তায় জ্বলে না ত্রিফলা বাতি। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা বাতি বসেছে রাজ্য জুড়ে। কিন্তু প্রায় সর্বত্রই কয়েক বছরের মধ্যে অকেজো হয়ে যাচ্ছে আলো। পুরসভা তো বটেই, পঞ্চায়েতেও ত্রিফলার একই হাল।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ত্রিফলা বাতি নিভে গিয়েছে বেলদাতেও। ফলে, সন্ধে নামলেই বেলদা শহরের মূল সড়কপথ আঁধারে ডুবছে। সব থেকে বেশি সমস্যা কালীমন্দির ও বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্লক অফিস পর্যন্ত অংশে। এই রাস্তার বেশিরভাগ ত্রিফলা বাতিই এখন আর জ্বলে না। কালীমন্দির সংলগ্ন ৫টি আলো ও বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্লক অফিসের দিকে মাত্র ৩টি আলো জ্বলে। বেলদা বাজার এলাকায় বেসরকারি বিজ্ঞাপন সংস্থা যে পথবাতি লাগিয়েছিল, তার আলোও জোরালো নয়। ফলে, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে বেলদা শহরগামী ওই সড়কপথে অন্ধকারে যাতায়াতে বিপাকে পড়ছেন স্থানীয়রা।
গত বছর পুজোর আগে বেলদা শহরের আঁধার ঘোচাতে উদ্যোগী হয়েছিল পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি। তখন সাংসদ সন্ধ্যা রায় বেলদা শহরের আলোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। সেই টাকা দিয়েই শহরে দু’টি হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভ ও ২৮টি ত্রিফলা পথবাতি লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। গত পুজোর আগেই পথবাতিগুলির উদ্বোধন হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতে গত কয়েক মাস ধরেই একের পর এক আলো নিভতে শুরু করেছে। ব্যস্ত ওই সড়ককে কেন্দ্র করেই বেলদা হয়ে উঠেছে জেলার অন্যতম বড় ব্যবসাক্ষেত্র। এলাকায় রয়েছে একাধিক বাজার। সেখানে চুরি-ছিনতাইও বাড়ছে। কয়েকমাস আগেই বেলদার ডেইলি বাজারে রাতের অন্ধকারে ডাকাতি হয়েছিল একটি সোনার গয়নার দোকানে। ফলে, আঁধার রাস্তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। স্থানীয় ব্যবসায়ী লক্ষ্মণ সাহু বলেন, “বেলদা শহরে পথবাতির অভাব বরাবর। যেখানে পথবাতি রয়েছে সেখানেও আলো জোরালো নয়। আর ত্রিফলাগুলির অধিকাংশই জ্বলে না। পথ চলতে সকলেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।”
কেন মেরামত করা হচ্ছে না অকেজো পথবাতি? স্থানীয় বেলদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সনাতন মঙ্গল বলেন, “আমিও দেখেছি আলো জ্বলছে না। পুজোর পরে সাংসদ তহবিলে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল সেই টাকা দিয়ে ত্রিফলা পথবাতি লাগানো হয়েছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে। উপপ্রধানকে বিষয়টি জানিয়েছি।” ত্রিফলা মেরামত নিয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সুমিত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “৮টি পথবাতি বাদে বাকি ত্রিফলা জ্বলছে না। যে সংস্থা বাতি বসিয়েছিল তাদের বলেছি। দ্রুত আলো সারানো হবে। তবে বেলদা শহরে আরও আলো চাই। চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy