সন্ধে নামার মুখে মাঝ-সমুদ্রে আচমকা বিকল হয়ে গিয়েছিল ট্রলার। চারদিকে শুধু জল আর জল, সঙ্গে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তার মাঝেই চরম উৎকণ্ঠায় রীতিমতো প্রাণ হাতে করে ঠায় বসেছিলেন একদল পর্যটক। শেষমেশ দিঘা কোস্টাল থানার পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন তাঁরা। ২২ জন পর্যটক-সহ ট্রলারে থাকা সকলকে উদ্ধার করা হল নিরাপদেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে একটি ট্রলার ভাড়া করে দিঘার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল পর্যটকদের ওই দলটি। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছোনোর মাত্র আধ ঘণ্টা আগে আচমকা ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। মাঝসমুদ্রে থমকে যায় পর্যটক-বোঝাই ট্রলারটি। সন্ধে নামার মুখে এই অঘটনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ২২ জন পর্যটক। বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দিঘা কোস্টাল থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ট্রলারের কর্মীরা। খবর পাওয়ামাত্র সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে দিঘা কোস্টাল থানার একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুতগতির ভেসেল নিয়ে মাঝ-সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখে, ঘন অন্ধকারে বিকল ট্রলারের মধ্যে বসে রয়েছেন আতঙ্কিত পর্যটকেরা। তার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় একে একে ২২ জন পর্যটককেই উদ্ধার করে ভেসেলে তোলা হয়। রাতেই তাঁদের নিরাপদে দিঘার সৈকতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রলারটি বিকল হয়ে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে পর্যটকরা সকলে সুস্থ রয়েছেন।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দিঘা কোস্টাল থানার এই পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। পর্যটকেরাও পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উদ্ধার হওয়া এক পর্যটকের কথায়, ''আনন্দের যাত্রা যে এ ভাবে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করাবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি। চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসছিল, কোনও উপায় ছিল না। পুলিশ সময় মতো না পৌঁছোলে আজ কী হত জানি না।"