ফাইল চিত্র।
দলছুট দুই হাতির তাণ্ডবে ক্ষতি হল চন্দ্রকোনার জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। সোমবার সকালে শালবনির আড়াবাড়ি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গলে ঢুকে পড়ে দুই দলছুট হাতি। রাতে স্থানীয় গোপনাথপুর গ্রামেও তাণ্ডব চালায় হাতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি মাটির বাড়ি ভেঙে আলু জমিতেও নামে দু’টি হাতি। বেশ কয়েক বিঘা জমির আলু গাছও নষ্ট করে হাতি। তারপর লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। খামারে ধান খেয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
বন দফতরের ডিএফও (মেদিনীপুর) রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। বন সুরক্ষা কমিটির লোকজনদের নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকালয়ে ঢুকে যাতে ফসল-ঘরবাড়ির কোনও ক্ষতি না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সকলেই সতর্ক করা হয়েছে।”
গড়বেতা, গোয়ালতোড় কিংবা ঝাড়গ্রামের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মতোই চন্দ্রকোনার বিভিন্ন এলাকাতেও হাতির দল তাণ্ডব চালায়। বছর কয়েক আগেই এই সময়ে হাতির পাল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চন্দ্রকোনার গ্রামগুলিতে তাণ্ডব চালাচ্ছে। গত বছরও হাতির পাল একাধিক গ্রামে ঢুকে কয়েক একর আলুর খেত তছনছ করে দিয়েছিল। একই সঙ্গে আনাজ খেতও নষ্ট করেছিল দলমার হাতির পাল। একাধিক বাড়িরও ক্ষতি হয়েছিল।
নতুন বছর শুরুতেই তাই দুই দলছুট হাতির খবরে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চন্দ্রকোনার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। বন দফতর জানাচ্ছে, হাতি খেদাতে এ বার হুলা ব্যবহারে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হুলায় যাতে হাতির কোনও ক্ষতি না হয় সে দিকে খেয়াল রেখেই হুলা ব্যবহার করবে
বন দফতরও।
বন দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক মানছেন, “জঙ্গল থেকে হাতির পাল বেরোবেই। লোকালয়েও ঢুকবে তারা। তখন ফসল কিংবা ঘরবাড়ির ক্ষতি তো হবেই। হুলা ব্যবহারও সবসময় করা যাবে না। তাই হাতির পাল আটকানোও মুশকিল।” ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “বন সুরক্ষা কমিটিকে এমনিতেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। হাতি খেদানোর আধুনিক নানা কৌশল সম্বন্ধেও রপ্ত করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy