Advertisement
E-Paper

জনসংযোগে গিয়ে ক্ষোভ শুনলেন দুই বিধায়ক   

শনিবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে পিংলা ব্লকের পিণ্ডরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পিণ্ডরুই ও ডাঙ্গলসা গ্রামে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কর্মসূচির তালিকায় থাকা গ্রামের সাতজন প্রভাবশালী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১৭
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

পিংলা ও চন্দ্রকোনা রোড: অসুস্থ থাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে যেতে পারেননি পিংলার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁর হয়ে ওই কর্মসূচিতে সেই কাজ করেছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। এ বার কিছুটা সুস্থ হয়ে এলাকায় গিয়ে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা শুনতে হল সৌমেনকে।

শনিবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে পিংলা ব্লকের পিণ্ডরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পিণ্ডরুই ও ডাঙ্গলসা গ্রামে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কর্মসূচির তালিকায় থাকা গ্রামের সাতজন প্রভাবশালী। বিধায়ক তথা মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নানা সমস্যার কথা জানান গ্রামবাসীরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই গ্রামীণ মোরাম রাস্তার সংস্কারের দাবি জানান। অভিযোগ শুনে দিদিকে বলো-র হেল্পলাইনে ফোন করতে ও এলাকার পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের জানাতে বলেন মন্ত্রী। তখনই জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।

গ্রামবাসীদের কয়েকজন জানান, এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জনসংযোগে পিছিয়ে পড়েছেন। তার সঙ্গে রয়েছে তৃণমূলের কোন্দল। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশও এই অভিযোগ সমর্থন করেন। পিণ্ডরুই দক্ষিণ গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল কর্মী নিহার মহাপাত্রের অভিযোগ, “আমাদের পঞ্চায়েত প্রধান আলাদা গোষ্ঠী তৈরি করতে চাইছে। এতে এলাকায় অশান্তি হচ্ছে। এটা মন্ত্রীকে জানিয়েছি।” এই বিষয়টি জানতে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণপ্রসাদ বেরাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। দুপুরে দলীয় কর্মী দুলাল সাঁতরার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন মন্ত্রী। পরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সকলকে নিয়ে একটি বৈঠকও করেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য এ দিন রাতে এলাকায় থাকেননি তিনি।

সৌমেন এ দিন বলেন, “অনেক কাজ হয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে দলের মধ্যে মতানৈক্যও রয়েছে। সেগুলি সমাধানের নিশ্চয় চেষ্টা করব।”

অন্য দিকে, ‘দিদিকে বলো’র কর্মসূচিতে গিয়ে অসমাপ্ত রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে। শুক্রবার গড়বেতা ৩ ব্লকের শঙ্করকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওড়গঞ্জা গ্রামে গিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। ওই এলাকাটি তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওড়গঞ্জা যাওয়ার রাস্তা ঢালাই করার জন্য ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তার জন্য জমি সমান করাও হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পরে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামের মানুষের একাংশের দাবি ছিল ঢালাই নয়, পিচের রাস্তা করতে হবে। এ নিয়ে পঞ্চায়েতে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। শুক্রবার বিধায়ক বলেন, ‘‘গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তা করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আমরা সেই দাবি দ্রুত পূরণের চেষ্টা করছি।’’

বিধায়ক এ দিন প্রাক্তন সিপিএম নেতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ষষ্ঠীচরণ সিংহ, আদিবাসী সংগঠনের নেতা রমেশ সরেন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি অজিত ঘোষ, চণ্ডী সাঁতরা, সানু কালিন্দীর বাড়িতে যান। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁদের সরকারি ভাতা দেওয়ার কথাও বলেন।

Didi ke Bolo TMC MLA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy