Advertisement
E-Paper

মহিলাদের কটূক্তি, খাদান-ক্ষোভে আগুন

শিলাবতী নদীতে স্নান করতে এসেছিলেন নানা বয়সী মহিলারা। তাঁদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠল বালি খাদানের কর্মীদের বিরুদ্ধে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০
বালি খাদান নিয়ে গোলমালে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাইকে। চন্দ্রকোনার ইসনগর গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

বালি খাদান নিয়ে গোলমালে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাইকে। চন্দ্রকোনার ইসনগর গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

শিলাবতী নদীতে স্নান করতে এসেছিলেন নানা বয়সী মহিলারা। তাঁদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠল বালি খাদানের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার এই অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে চন্দ্রকোনা থানার ইসনগর। উত্তেজিত গ্রামবাসী স্থানীয় একজনের ঘরে ভাঙচুর চালান। মোটরবাইক, ফ্রিজে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অশান্তির জেরে আপাতত ওই খাদান থেকে বালি তোলা বন্ধ রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তবে পুলিশি টহল শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা করা হবে।”

সোমবার দুপুরে ইসনগর গ্রামের কয়েকজন মহিলা শিলাবতীতে স্নান করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় এক তরুণীকে লক্ষ করে কটুক্তি করা হয়। তারপর মহিলাদের পাশ দিয়েই বালি বোঝাই ট্রাক্টর যাচ্ছিল। চাকা থেকে জল ছিটে মেয়েদের গায়ে পড়ে। মহিলারা প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, খাদানের কাজে যুক্ত শ্রমিক ও ট্রাক্টরের চালকেরা তখন মহিলাদের উপর চড়াও হয়। এমনিতেই বালি মাফিয়াদের নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ছিল।

এ দিনের ঘটনায় সেই আগুনে ঘি পড়ে। খাদান বন্ধের দাবিতে বালি বোঝাই লরি-ট্রাক্টর ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বসা গড়ায় হাতাহাতিতে। শ্যামল পাল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা খাদান মালিকদের বাণিজ্যিক কাজে সাহায্য করায় তাঁর ঘরে ভাঙচুর চালান উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। বাইক, ফ্রিজ-সহ বিভিন্ন আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চন্দ্রকোনা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘন্টা দু’য়েক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

চন্দ্রকোনা জুড়ে প্রকাশ্যেই চলছে বেআইনি বালি খাদানের কারবার। দিন-রাত নদী থেকে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের প্রত্যক্ষ মদতেই এই কারবার চলছে বলে অভিযোগ। তার উপর অভিযোগ, বালি মাফিয়ারা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ফলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এমন পরিস্থিতিতে এ দিন খাদান কর্মীরা মহিলাদের উত্ত্যক্ত করায় ক্ষোভ ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্জি, অবৈধ বালি কারবার বন্ধের পাশাপাশি মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক পুলিশ-প্রশাসন।

Harassment Chandrakona
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy