Advertisement
E-Paper

ডেবরা কলেজে ধুন্ধুমার

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০৮
কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

কলেজে যোগ দেবেন নয়া অধ্যক্ষ। তাই বিধি মেনে বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের সঙ্গে এসেছিলেন কলেজের প্রশাসক মহকুমাশাসক। কিন্তু প্রশাসককে ঢুকতেই দিলেন না পড়ুয়াদের একাংশ। প্রাথমিকভাবে ভেস্তে যায় অধ্যক্ষের যোগ দান। ছাত্রদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলতে লাঠি চালালো পুলিশ।

ঠিক ছিল ডেবরার শহিদ ক্ষুদিরাম মহাবিদ্যালয়ে এ দিন অধ্যক্ষ হিসাবে কাজে যোগ দেবেন রূপা দাশগুপ্ত। সেই মতো তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন কলেজে। কিন্তু কলেজের প্রশাসক তথা খড়্গপুরের মহকুমা শাসক সুদীপ সরকার কলেজ গেটে যেতেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। কলেজের সমস্যা সমাধানে প্রশাসক যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি— এই অভিযোগ তুলে সরব হন পড়ুয়াদের একাংশ। অভিযোগ, বহিরাগত কয়েকজন প্রশাসককে ঢুকতে বাধা দেয়। এমনকী, প্রশাসকের পক্ষ নিয়ে কয়েকজন কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় পড়ুয়াদের। দু’জন শিক্ষক ও তিনজন পড়ুয়া ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। পড়ুয়াদের বাধায় ফিরে আসতে হয় প্রশাসককে। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দু’জন শিক্ষক আক্রান্ত হয়েছেন। ওরা যে অভিযোগ তুলছে তা ভিত্তিহীন। আমি বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়েছি।” মহকুমাশাসক জানান, তাঁর দফতরে গিয়ে এ বিকেলে নতুন অধ্যক্ষ কাজে যোগ দিয়েছেন। পরে যান কলেজেও।

হাতাহাতির পর একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অবস্থানে বসে ছাত্র-শিক্ষক দু’পক্ষ। শিক্ষকেরা অবস্থান তুলে নিলেও তা চালিয়ে যান ছাত্রেরা। অভিযোগ, সন্ধ্যায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবস্থানকারী ছাত্রদের তুলে দেয়। যদিও পুলিশ লাঠিচার্জের কথা মানতে চায়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘লাঠিচার্জ হয়নি। যারা অনুরোধ মানেনি তাদের আটক করা হয়েছে।’’ তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের শীর্ষনেতৃত্বের হস্তক্ষেপেই সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। কারণ, এ ক্ষেত্রে দলের অবস্থান হল— অধ্যক্ষ নিয়োগের মতো প্রশাসনিক বিষয়ে পড়ুয়াদের কোনও মত থাকা উচিত নয়। গত প্রায় দু’বছর ধরে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। বিরোধের জেরে কলেজ পরিচালন সমিতি ভেঙে মহকুমাশাসককে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত বছরের ৬জানুয়ারি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর।

কলেজের টিচার ইন-চার্জ সুতপা পালের বিরুদ্ধে ছাত্র বিক্ষোভে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ওই কলেজের টিএমসিপি-র ইউনিট সভাপতি শুভেন্দু প্রামাণিক বলেন, “এই ঘটনায় আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। আসলে কলেজে শিক্ষকেরা ক্লাস নেন না। প্রশাসককে অভিযোগ জানিয়েও সুফল না পাওয়ায় পড়ুয়ারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।” কিন্তু পড়ুয়াদের এমন কাজে কেন বাধা দিতে দেখা গেল না টিচার ইন-চার্জকে? তিনি বলেন, “আমি তো অফিস ঘরে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে ব্যস্ত ছিলাম। প্রশাসকের সঙ্গে বাইরে কী হয়েছে জানি না। এর বেশি কিছু বলব না।”

College Unrest Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy