নজরদার: তৈরি হচ্ছে এমনই মিনার। নিজস্ব চিত্র
দলমার দামালদের উপর নজর রাখাতে ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর। গত দু’বছরে হাতির হামলায় ১৩ জনের মৃত্যু এবং শস্যহানির পরে ঝাড়গ্রাম রেঞ্জে শালবনির জঙ্গল খাস এলাকায় রাস্তার ধারে এই টাওয়ার তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে।
১২টি রেঞ্জ নিয়ে গড়া ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে ১২টি রেসিডেন্সিয়াল হাতি রয়েছে। এর মধ্যে শালবনির জঙ্গল খাস এলাকায় তিনটি রেসিডেন্সিয়াল হাতি রয়েছে। বাসিন্দারা তাদের নাম দিয়েছে চায়না, লেজ কাটা ও দাঁতু। গ্রামের লোকজন এদের অত্যাচারে অতিষ্ট। ডিএফও ঝাড়গ্রাম বাসবরাজ হোলেইচ্চি বলেছেন, ‘‘হাতির উপর নজরদারি চালাতে ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে তিনটি রেঞ্জে পাঁচ মিটার উঁচু পাঁচটি টাওয়ার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। ভুলাভেদা, কাঁকড়াঝোরেও নজরদারিতে সুবিধার জন্য বড় টাওয়ার করার কথা ভাবা হয়েছে।’’
দলমার হাতির পাল প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে আসে ও মার্চ মাসের প্রথম দিকে চলে যায়। এই যাত্রা পথে ১৫-১৬ দিন বিভিন্ন জঙ্গলে কাটায় দলগুলি। সহকারী বিভাগীয় বন আধিকারিক সমীর মজুমদার জানান, ‘‘বনজ সম্পদের গভীরতা কমতে থাকায় হাতিরা গতিপথ এবং থাকার সময়েরও পরিবর্তন করেছে। ফলে অল্প কয়েক জন বন কর্মীদের পক্ষে হাতিদের গতিবিধির উপর নজর রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।’’ বন দফতর সূত্রে খবর, ৯০ শতাংশ বনরক্ষী কমে গিয়োছে। পঁচিশ বছর কোন নতুন বনরক্ষী নিয়োগ হয়নি। এতে হাতির ওপর নজরদারির যেমন অভাব হচ্ছে তেমনই বনজ সম্পদের গভীরতাও কমছে। হাতিদের উপযুক্ত পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। হাতির হামলায় প্রাণহানির পাশাপাশি ক্ষতিও বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy