Advertisement
E-Paper

ওয়েবসাইট ‘জ্যাম’, কৃষক বন্ধুর নথি পেতে সমস্যা

রাজ্য সরকারের ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে আবেদন করছেন বহু চাষি। কিন্তু সেই আবেদনের ফর্ম জমা দিতে গিয়ে হলদিয়ার সুতাহাটা বিভিন্ন এলাকার চাষিরা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। চাষিদের অভিযোগ, অনলাইনে জমি সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:২৪

রাজ্য সরকারের ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে আবেদন করছেন বহু চাষি। কিন্তু সেই আবেদনের ফর্ম জমা দিতে গিয়ে হলদিয়ার সুতাহাটা বিভিন্ন এলাকার চাষিরা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। চাষিদের অভিযোগ, অনলাইনে জমি সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।

জেলা প্রশাসন এবং ভূমি দফতর সূত্রের খবর, ‘বাংলার ভূমি’ ওয়েবসাইট থেকে কোনও ব্যক্তি তাঁর জমি সংক্রান্ত রেকর্ড পাওয়ার আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে রেকর্ড পেতে সাহায্য করে ‘সহজ তথ্য মিত্র কেন্দ্র’ও। কিন্তু সম্প্রতি সুতাহাটার বহু চাষি অভিযোগ করছেন তাঁরা অনলাইন থেকে ওই তথ্য নিতে পারছেন না। আর তথ্য না পাওয়ায় আবেদনপত্রও জমা দিতে পারছেন না তাঁরা। কারণ, ওই প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় চাষিকে তাঁর জমির সর্বশেষ তথ্যও জমা দিতে হবে।

সুতাহাটার গুয়াবেড়িয়ার বাসিন্দা বলেন, ‘‘বুধবার ব্রজলালচকের সহজ তথ্য মিত্র কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিল, পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তাই রেকর্ড কবে মিলবে, বলা যাচ্ছে না।’’ হলদ্দিয়ার মঞ্জুশ্রী এলাকার এক সাইবার ক্যাফে ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে ওয়েবসাইট খুব একটা ভাল কাজ কছে না। কিছুতেই আবেদনকারী জমি মালিকদের রেকর্ড দিতে পারছি না।’’

শুধু সুতাহাটা নয়, ‘বাংলার ভূমি’ ওয়েবসাইট নিয়ে একই রকম সমস্যায় পড়েছেন নন্দীগ্রাম, মহিষাদল, নন্দকুমার, খেজুরি এলাকারও অনেক চাষি। ব্লক পিছু পঞ্চায়েতগুলি আবেদন জমা নেওয়ার সময় ধার্য করে দিয়েছে। তার মধ্যে আদৌ ফর্ম জমা দেওয়া যাবে কি না, সে নিয়ে চাষিদের মধ্যে চিন্তা বেড়েছে।

কিন্তু এমন হচ্ছে কেন? জেলা প্রশাসন ও ভূমি দফতর সূত্রের খবর, এককালীন বহু রেকর্ড পাওয়ার আবেদন জমা পড়ায় চাপ বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। তাই চাপ সামলাতে না পেরে অনেকসময় ওয়েবসাইট ‘জ্যাম’ হয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) শেখর দে বলেন, ‘‘সমস্যার কথা আমরা জেনেছি। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ চাষিদের এমন হয়রানি নিয়ে কথা বলা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘সাময়িক সমস্যা থাকতেই পারে। যারা এই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হব।’’

Haldia Krishak Bandhu Government Administration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy